এসডিজি অর্জনে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন জরুরি
আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী):
আইন প্রণয়ন করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নইলে জাতিসংঘ গৃহীত টেকসই উউন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করা যাবে না। কারণ এসডিজির দ্বিতীয় লক্ষ্য হচ্ছে, ক্ষুধার সমাপ্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নততর পুষ্টি অর্জন এবং টেকসই কৃষি প্রবর্তন।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজশাহী নগরীর একটি রেঁস্তোরার সম্মেলন কক্ষে খাদ্য অধিকার বিষয়ক আঞ্চলিক কংগ্রেসে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী-০১ (তানোর- গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।
রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আ.ন.ম ওয়াহিদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম.কে নোমান ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি রবিউল আলম বাবু।
বক্তারা আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবধরণের ক্ষুধা নির্মূল করা, অপুষ্টিদূর করা, প্রাকৃতিক সম্পদ সহ সব সম্পদে ক্ষুদ্র কৃষকদের নায্য প্রবেশাধিকার দেয়া, কর্মসংস্থান ও আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন করোনা খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষসভাবে সামনে এনেছে। আদিবাসী দলিত এবং হিজড়া সম্প্রদায় এসময় তাদের ভোগান্তির অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
বেসরকারি সংস্থা পরিবর্তনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদ রিপনের সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন- ডা. ওয়াজেদ আলী বেগ, জেলা মহিলা পরিষদ সভাপতি কল্পনা রায়, আপসের নির্বাহী পরিচালক আবুল বাসার পল্টু, ব্লাস্ট সমন্বয়কারি অ্যাড সামিনা বেগম, দিনের আলো হিজড়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোহনা, আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সুবাস চন্দ্র হেমব্রম প্রমুখ।