জামালপুর জিলা স্কুলে ভর্তি বঞ্চিত ছাত্র অভিভাবকদের মানববন্ধন
শামীম আলম, (জামালপুর) :
জামালপুর জিলা স্কুলে ভর্তি জন্য লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েও বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না ২৫ শিক্ষার্থীরা । ভর্তির সুযোগ চেয়ে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসকের কাছে। অভিভাবকের অভিযোগ যথাযথ ভর্তি নির্দেশনা মেনে আবেদন করে লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার কথা জানান। সেই সাথে সরকারের কাছে মানবিক আবেদন জানান কোমলমতি শিশুতের জন্য।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর ) ভুক্তভোগী অভিভাবকবৃন্দের আয়োজনে জামালপুর জিলা স্কুল ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । পরে জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো, মোখলেছুর রহমান।
এদিকে অভিভাবকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে যে বয়স সীমা দেওয়া আছে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে সেটার সংশোধন করা হয়েছে । এই দুই ধরনের কথায় হতাশায় পরেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো, সোলায়মান আরজু জানান সরকারি স্কুলে তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণীতে ছাত্র ভর্তি নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া আছে , আমরা সেই নীতি মালা মেনে আবেদন করেছি এবং আমার ছেলে লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে বয়স কম হওয়ায় ভর্তি করা যাবে না ।
অভিভাবক লুৎফা আক্তার বলেন আমার ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রতিবন্ধী কোঠায় উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে তার বয়স ৭ দিন কম তাই ভর্তি করা যাবে না।
নাদিরা পারভিন সেতু বলেন আমার ছেলে অন্য সরকারি স্কুল থেকে ক্লাস ফাইভ পাশ করেছে, সে কি এখন কোন ক্লাসে পড়বে? অভিভাবকবৃন্দ কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ রেখে বলেন এই কোমল মতি শিশুদের কথা চিন্তা করে উত্তীর্ণ সবাইকে ভর্তির সুযোগ দিতে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন মো, সুজন চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, মাহফুজা বেগম, হেমিকা রহমান সহ আরো অনেকে ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো, মোখলেছুর রহমান জানান,বিষয়টি গুরুত্বের সাথে সরকারি বিধি মেনে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।পরে সবাইকে আশ্বস্ত করলে উপস্থিত ছাত্র অভিভাবক জেলা প্রশাসকের অফিস ত্যাগ করেন।