শিরোনাম

South east bank ad

বাঁচতে চায় ধীমান, ফোটাতে চায় দরিদ্র বাবার মুখে হাসি

 প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মেহের মামুন, (গোপালগঞ্জ):

ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স ৩য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ছিলেন ইমন রায় ধীমান। ইতিমধ্যে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে ধীমানের। ব্রেন টিউমারের আক্রান্ত হয়ে এই টগবগে এই যুবক এখন মৃত্যু পথযাত্রী। ২৫ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা জীবনটা এক নিমিষেই যেন অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসেছে।

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ইমন রায় ধীমান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের কলাবাড়ী গ্রামের পূর্বপাড়ার জয়দেব রায়ের ছেলে। সামান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবা দুই বছর যাবত ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আজ নিঃস্ব-অসহায়।

ইমন রায় ধীমানে পিতা জয়দেব রায় মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, ২০১২ সালে কোটালীপাড়ার বিনয় কৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল ইলেকট্রিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৬০ পেয়ে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হয় কাজী মন্টু ডিগ্রী কলেজে। ২০১৪ সালে এই কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন জিপিএ ৪.৪৮ পেয়ে।

দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী ধীমান এক বুক স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন মার্কেটিং বিভাগে। ১ম ও ২য় বর্ষ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। ভালোই চলছিল শিক্ষা জীবন। স্বপ্ন দেখতে থাকেন লেখাপড়া শেষ করে ভাল চাকরি করে দরিদ্র মা বাবার মুখে হাসি ফোটানোর।

কিন্তু ৩য় বর্ষে উঠতেই এই স্বপ্ন যেন ধুলিসাৎ হয়ে গেল ধীমনের। হঠাৎ হঠাৎ প্রচন্ড মাথা ব্যাথ্যা। তীব্র যন্ত্রণায় লেখাপড়া করতে পারতেন না। মাথা ব্যাথ্যার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কলেজ ছেড়ে বাড়ীতে চলে আসে ২০১৮ সালে। চলতে থাকে ঝাড়ফুক, পানিপড়া আর কবিরাজী চিকিৎসা। ১০ দিন ভালো থাকে তো ৫ দিন থাকে মাথা ব্যাথ্যা। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে এভাবেই চলে ধীমানের জীবন।

এরপর কেটে যায় আরো প্রায় ২ বছর। এরই মধ্যে দেখা দেয় করোনার প্রকোপ। আভাবে সংসারে অভাব যেন আরো বেড়ে যায়। অন্যদিকে ধীমানের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে লেখাপড়া বাদ দিয়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে বাবার সাথে কাজে যোগ দেয় ধীমান।

মাস ছয়েক আগে ধীমান লক্ষ করেন তিনি ডান চোখে ঝাপসা দেখেন আর বাম কানে কম শোনেন। এরই মাঝে মারা যায় ধীমানের মা। এদিকে ধীমানের মাথাব্যাথা আরো তীব্র হয়।

প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে ঢাকায় আসেন চিকিৎসা করাতে। এম.আর.আই ও সিটিস্ক্যান করে চিকিৎসকেরা দেখতে পান ধীমানের মাথায় বাসা বেধেছে মরণঘাতী ব্রেন টিউমার। যা অনেক বড় হয়ে উঠেছে। দ্রুত অপারেশন না করালে যে কোন সময় নিভে যাবে ধীমানের জীবন প্রদীপ এমনটাই জানায় চিকিৎসকেরা।

ধীমানের দূর সম্পর্কের এক মামা থাকেন ভারতে। তিনি জানতে পেরে পরামর্শ দেন ভারতে গিয়ে অপারেশন করানোর। সে ক্ষেত্রে ধীমানের প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে পাসপোর্ট করা হয়েছে। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে ধীমানের। বৃদ্ধ বাবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের কাছে ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।

ধীমানের চিকিৎসার জন্য টাকা পাঠাতে পারেন ০১৯২২-৩২৯৮১৮ এই পার্সোনাল বিকাশ নম্বরে। এছাড়া ধীমানের সাথে কথা বলতে পারেন ০১৯২৩-৫১৬৩১৮ এই নম্বরে।

মানুষ মানুষের জন্য। তাই আপনাদের সকলের সহযোগিতা পেলে বেঁচে উঠতে পারে মেধাবী ধীমান। আবার শুরু হবে তার লেখাপড়া। মায়ের খুশি হাসি ফোটাতে না পাড়লে ফোটাতে পারবে বাবার মুখের হাসি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: