প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ: জরুরী কল সেন্টার ৯৯৯ এ কল- অতঃপর পুলিশের উদ্ধার
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা)
বরগুনায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দের বিরোধে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করে রুমে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। পরে জরুরী কল সেন্টার ৯৯৯ এর সহায়তায় ওই শিক্ষককে তালা ভেঙে উদ্ধার করেছে বেতাগী পুলিশ।
আজ রোববার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বেতাগী উপজেলার কুমড়াখালী শঁশী ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈনুল ইসলাম জানান- প্রায় এক মাস ধরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্ধে জড়ায় সাবেক সভাপতি, বর্তমান সভাপতি ও তাদের সমর্থকরা। পূর্বের ঘোষিত নোটিশ অনুযায়ী রোববার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা নেয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৮টায় বিদ্যালয়ে আসেন তিনি। এরপরেই সাবেক কমিটির সদস্য ফণি ভূষণ সিংহ, বিনয় ভূষণ সিংহসহ ১০-১২ জন লোক এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা তাকে লাঞ্চিত করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের রুমেই তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ কল করে জানালে বেতাগী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফণি ভূষণ সিংহ, বিনয় ভূষণ সিংহসহ কাউকেই পাওয়া যায়নি।
ম্যানেজিং কমিটির এ্যাডহক কমিটির সভাপতি জয়ন্তি রাণী বলেন- ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দের কারনে বরিশাল শিক্ষাবোর্ড থেকে আমাকে এ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে কাজ করে একটি রাজনৈতিক চক্র। আমি তাদের নাম বলতে পারবো না। এত দ্বন্দ থাকলে বিদ্যালয় পরিচালনা করা সম্ভব না। আমি চাই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলুক। এখানে প্রায় ১ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পাঠ গ্রহণ করে। আমার সভাপতির পদ দরকার নেই, শিক্ষা কার্যক্রমটা চালু থাকা দরকার। শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ-আলম বলেন- প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএলও) মো. সুহরিত সালেহীন জানান- ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশের পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরপরই আমি নিজেও ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করি। এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।