এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোহন হত্যা মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):
বগুড়ার শহরের খান্দারে ছুরিকাঘাত ও মারপিটের শিকার হয়ে ১৮ বছর বয়সী মোহন মিয়া নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী খুনের ঘটনায় থানায় মামলা এক দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
গতকাল বুধবার (০১ ডিসেম্বর ২০২১) রাতে সদর থানায় মামলা করেন নিহতের মা শাহিনুর বেগম। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এবং অজ্ঞাত আরও আট থেকে ১০জনকে আসামী করা হয়। মামলার পর আবু তোহা খন্দকার নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে তাকে মঙ্গলবার আটক করা হয়েছিল। মোহন ছুরিকাঘাতের শিকার হয়ে সোমবার রাত ১২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা যান।
মোহন বগুড়া শহরের জাহাঙ্গীরাবাদ ফুলতলা এলাকার শুকুর আলীর ছেলে। তিনি বগুড়া সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
গ্রেপ্তার আবু তোহা খন্দকার কাহালু উপজেলার বাসিন্দা। তিনি খান্দার এলাকার স্থানীয় এক গ্যারেজের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বুধবার রাতে মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া খান্দার এলাকার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম। এর আগে মঙ্গলবার সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে (আবু তোহা) আটক করা হয়েছিল।
জানা গেছে, গত সোমবার (২৯ নভেম্বর ২০২১) রাত পৌনে ১১টার দিকে বগুড়া শহরের খান্দার এলাকায় পূর্ব শক্রতার জেরে ছুরিকাঘাতের শিকার হন মোহন। একইসঙ্গে লাঠিসোটা দিয়ে মোহনের সঙ্গে থাকা লিখন ও বাপ্পি নামে দুইজনকে বেধড়ক পেটানো হয়। তারা শজিমেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সুস্থ আছেন। লিখন ও বাপ্পি দুজনই মোহনের বন্ধু। এ দুজনই শহরের জাহাঙ্গীরাবাদ ফুলতলা চক-কানপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের দুই ভাই শাহীন ও রমজান জানান, মোহন খান্দার এলাকা থেকে তার দুই বন্ধু লিখন ও বাপ্পিকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ফুলতলায় (বাড়ি) ফিরছিলেন। পথে খান্দার সিএন্ডবি গোডাউনের সামনে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন আসামীরা। ওই সময় তারা (আসামী) লাঠিসোটা দিয়ে মোহন, বাপ্পি ও লিখনকে মারধর করতে থাকেন। তাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে পেটানোর একপর্যায়ে মোহনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ওই সময় মোহনের কোমরের নিচে ও উরুতে চারটির মত ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহত তিনজনকে অটোরিকশায় করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন আসামীরা। শজিমেক হাসপাতালে ঘণ্টাখানেক চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মোহনের মৃত্যু হয়। আর আহত বাপ্পি ও লিখন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত মোহনের মা বাদী হয়ে বুধবার রাতে হত্যা মামলা করেন। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।