নোম্যান্সল্যান্ডে বিজিবি-বিএসএফের ‘রিট্রিট সিরিমনি’ ও বিএসএফের ‘রাইজিং ডে’ অনুষ্ঠিত
মোঃ জামাল হোসেন, (যশোর):
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে ৫৭ তম ‘রাইজিং ডে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উভয় দেশের বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে মিস্টি, ফল ও উপহার সামগ্রীও বিতরন করেছেন। এছাড়া সৌহার্দ সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার জন্য দুই দেশের ‘রিট্রিট সিরিমনি’ ও পতাকা উত্তোলন করোনা ভাইরাাসের কারনে এক বছর নয়মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার (০১ ডিসেম্বর ২০২১) বিকেলে আবার শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে দু‘দেশের বিজিবি ও বিএসএফ এর অধিনায়কেরাও উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (০১ ডিসেম্বর ২০২১) বেলা ৫ টার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মধ্যে নোম্যান্সল্যান্ডে কুচকাওয়াজ ও মিষ্টি এবং বিএসএফের ‘রাইজিং ডে’ উপলক্ষে উপহার বিতরনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ১৭৯ ব্যাটালিয়নের টু-আইসি কুলদিপ ও বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা।
এ সময় দীর্ঘ দিন পর দু‘দশের বন্ধুত্বপূর্ণ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ দেখার জন্য ভারত বাংলাদেশের গ্যালারিতে শত শত দর্শক উপস্থিত হয়। দর্শকরা কুচকাওয়াজের সময় উভয় দেশের সৈনিকদের করতালি দিয়ে উৎসাহ দেন।
উল্লেখ্য সীমান্তে বসবাসরত দুই দেশের মানুষ ও সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য সম্পর্কে বৃদ্ধি করতে ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর দু‘দেশের রাস্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ‘রিট্রিট সিরিমনি’ চালু হয়। সেই থেকে প্রতিদিন চলে আসছিল এ অনুষ্ঠানটি। বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ সিদ্ধান্তে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে এ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকে আবার শুরু হয়েছিল ‘রিট্রিট সিরিমনি’। সপ্তাহে দুই দিন হচ্ছিল অনুষ্ঠানটি। দ্বিতীয় ধাপে করোনার কারণে আবার বন্ধ হয়ে যায় ‘রিট্রিট সিরিমনি’। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে চলতি বছরের ২৬ মার্চ একদিনের জন্য বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফের জমকালো ‘রিট্রিট সিরিমনি’ বিজিবি-বিএসএফ যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়।