ওমিক্রনকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে সতর্ক করল ডব্লিউএইচও

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেইসঙ্গে এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলেও বিশ্বকে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি তার ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রকে ‘ওমিক্রন ঝুঁকি’ নিয়ে এমনই সতর্কবার্তা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে সংক্রমণের ঢেউ ঠেকাতে বিশেষ গ্রুপের মানুষদের মধ্যে টিকাদানের হার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ঠিক রাখতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার যথার্থতাও নিশ্চিত করতে বলেছে সংস্থাটি।

করোনার নতুন এই ধরণটির স্পাইক প্রোটিনে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজন বা মিউটেশন হতে পারে। ডব্লিউএইচও বলছে, এর মধ্যে কিছু মিউটেশন উদ্বেগজনক। কারণ তা মহামারীর গতিপথও বদলে দিতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, নতুন এই ধরন বিশ্বের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের এই ধরনে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নতুন ধরনটির বিপক্ষে প্রচলিত টিকাসমূহ কার্যকর কিনা- তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও বলছে, ওমিক্রনের সংক্রমণ এবং রোগের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে তা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং অসুস্থতা ও মৃত্যু বাড়িয়ে দিতে পারে। অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব হবে গুরুতর। বিশেষ করে, টিকা কম দেয়া দেশগুলোতে।

গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার খবর পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশটিতে এরই মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়েছে। এছাড়াও, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেই ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে প্রায় ৪৪টি দেশ তাঁদের সীমান্ত বন্ধ করাসহ ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সর্বশেষ সোমবার বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়েছে জাপান ও ইসরায়েল।

এদিকে, ডব্লিউএইচও তাদের সর্বশেষ নির্দেশিকায় বলেছে, “সব দেশের উচিত ঝুঁকির-ভিত্তিতে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে সময়মতো আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সংক্রান্ত সব পদক্ষেপ ঠিক করে নেয়া। এ বিষয়ে পরে আরও পরামর্শ দেয়া হবে।”

ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যেহেতু নতুন এই ধরনটি এর স্পাইক প্রোটিন বারবার অভিযোজনের ক্ষমতা রাখে, ফলে এর শক্তি অনেকটাই বেশি। স্পাইক প্রোটিনে একাধিক মিউটেশনের ঘটনা টিকার কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে বলে উদ্বেগ আছে। এ বিষয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র- রয়টার্স।