কাশিয়ানীর তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতায় অন্তত ২৫ জন আহত

মেহের মামুন, (গোপালগঞ্জ):

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতায় অন্তত ২৫ জন আহত ও শতাধিক বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে এলাকায় বিজিবি, পুলিশ ও আর্মড ব্যাটালিয়ান সদস্যদের টহল অব্যহত রয়েছে।

১২ নভেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসব এলাকা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় সাজাইল ইউনিয়নের নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের সমর্থকরা এলাকায় একটি বিজয় মিছিল বের করে। এতে পরাজিত নৌকার প্রার্থী কাজী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা হামলা চালায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা লাঠি-সোটা, ঢাল-সড়কি ও ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে মহিলাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত ও অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।

অপর দিকে, কাশিয়ানী ইউনিয়নের বুথপাশা ও পিংগুলিয়া গ্রামেও পরাজিত নৌকা ও বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া রাতইল ইউনিয়নের পাথরঘাটা ও ধানকোড়া গ্রামে নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ রায় সংঘর্ষের ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।