শিবগঞ্জের স্বামী হত্যার বিচার চাইতে প্রার্থী জেসমিন আক্তার
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
স্বামী হত্যার বিচার চাইতে প্রার্থী হয়েছেন জেসমিন আক্তার। তিনি এবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ পুরুষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার প্রতীক মোরগ। ওই ওয়ার্ডে জেসমিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুস সামাদ। তার প্রতীক টিউবওয়েল।
চলতি বছরের গত ৮ ফেব্রুয়ারি ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের দাড়িদহ বাজারে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এসএম রুপম এবং সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেতা আবু জাফর মন্ডলের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে প্রাণ হারান ৮নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি নিয়ামতপুর গ্রামের আব্দুল বাছেদ মন্ডলের ছেলে আজহারুল ইসলাম নান্টু (৩৫)। তিনি জেসমিন আক্তারের স্বামী। সেই ঘটনায় আবু জাফর মন্ডলসহ বেশ কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের হয়।
স্বামী হত্যার বিচার চাইতেই ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন জেসমিন আক্তার। তিনি ভোটারদের বলছেন, আমার সব হারিয়েছে। আপনাদের ভালবাসার তা আবার ফিরে পেতে চাই। আমাকে একটি বারের জন্য নির্বাচিত করুন। আমি নির্বাচিত হলে আমার প্রয়াত স্বামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে পারব। নারীদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখব।
এক সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার বলেন, নির্বাচনে ভোটারদের যথেষ্ট সারা পাচ্ছি। বিশেষ করে মহিলাদের ভালবাসা আমার সঙ্গে আছে। তাদের দোয়ার আমি নির্বাচিত হবো ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, নারী বলে প্রচার প্রচারণা চালাতে নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। স্বামীর হত্যাকারীরা জামিনে এসে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে। তারপরও থেমে থাকব না।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান মাস্টার বলেন, আমরা জেসমিনকে সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। ভোট প্রার্থনা করছি। তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। তিনি বলেন, আজহারুল ইসলাম নান্টু হত্যার বিচার এখন হয়নি। ওই মামলার প্রধান আসামী আবু জাফর মন্ডল এখন জামিনে আছেন। তিনি নিজেও চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে আছেন। আগামী ১১ নভেম্বর এ ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ হবে।