রাজফুলবাড়িয়ায় চাকুরীর প্রলোভনে টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
র্যাব-৪ এর অভিযানে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকা হতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূয়া পরিচয়ে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার।
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিককালে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি সাম্প্রতিক এসব প্রতারক চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা তৎপর।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৯নভেম্বর ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাকুরী নিয়োগের জীবন বৃত্তান্ত , নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড,বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকে পরিহিত ছবি , দলিল তৈরীর স্ট্যাম্প পেপার নেমপ্লেট, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের নাম সম্বলিত চেকের পাতা, একটি ব্যাংকের চেক বই এবং ০১ টি মোটরসাইকেলসহ নিম্নোক্ত প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
তারা হলো মোঃ শরীফ (৩৯), জেলা-টাঙ্গাইল, মোঃ ওবায়দুর রহমান (৩৫), জেলা-ফরিদপুর, মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জেলা-টাঙ্গাইল ও
মোঃ আজমত খান (৪২), জেলা-টাঙ্গাইল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীরা তাদের কৃতকর্মের অর্থ্যাৎ প্রতারনার কথা স্বীকার করেছে। তারা সংঘবদ্ধভাবে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে অভিনব কায়দায় নিরীহ ব্যক্তিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থায় চাকুরী দেবার প্রলোভন দেখিয়ে চাকুরি প্রত্যাশী গরিব, অসহায়, নিম্ম মধ্যবিত্ত মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতারণার কৌশলঃ
তারা পরস্পরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশে অভিনব কায়দায় বিভিন্ন গরীব ও অসহায় চাকুরী প্রত্যাশীদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন পদে চাকুরী দিবে বলে প্রতারণা করে আসছে। সংঘবদ্ধ চক্রটি বিভিন্ন বাহিনীর ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি ব্যবহার করে চাকুরী প্রত্যাশীদের আকৃষ্ট করতো। তাঁরা নিজেদেরকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় প্রদান করতো। উক্ত আসামীরা একে অপরের সহযোগিতায় চাকুরীর ভূয়া নিয়োগপত্র ও জাল স্ট্যাম্প তৈরী করে বিভিন্ন লোকজনের নিকট হতে বিপুল পরিমানের টাকা আত্মসাৎ করে। এছাড়াও আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত এহেন কর্মকান্ড পরিচালনা করে বিভিন্ন লোকের নিকট হতে বিপুল পরিমান টাকা প্রতারণা মূলকভাবে আত্মসাৎ করে আসছে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা এসব সত্যতা স্বীকার করেছে এবং এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।