পুরনো চেহারায় মুজিব সড়কের ফুটপাত
গোলাম মোস্তফা মুন্না, (যশোর) :
যশোর শহরের দড়াটানা থেকে টাউনহল ময়দান পর্যন্ত ব্যস্ততম মুজিব সড়কের দুই পাশ এক সময় ছিল হকারদের দখলে। অস্থায়ী দোকান বানিয়ে ব্যবসা করতেন ছোট ছোট কাপড় ব্যবসায়ীরা। মানুষের যাতায়াতের সুবিধা দিতে হকার উচ্ছেদ করে প্রশাসন। শুধু উচ্ছেদ নয় রীতিমত স্থায়ী হকার্স মার্কেট স্থাপন করে ছোট ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করে যশোর পৌরসভা। এত কাঠখড় পুড়িয়েও হকারমুক্ত করা যায়নি মুজিব সড়কের ফুটপাত। আগে ছিল পলিথিন আর বাঁশ খুটির অস্থায়ী দোকান। এখন একটি ভ্যানেই একটি দোকান। ফুটপাতের উপর দোকানি, রাস্তার উপর ভ্যান, ভ্যানকে ঘিরে ক্রেতার ভীড়। ফুটপাতের সাথে রাস্তাও বেদখল। যেন ক্রেতা-বিক্রেতা একাকার হয়ে গেছে। তাড়িয়ে দিলে ভ্যান নিয়ে চলে যায়। আবার সুযোগ বুঝে ফিরে আসে। তাদের কারণে একদিকে পাশের স্থায়ী ব্যবসায়ীদের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি এই সড়কে চলাচলকারীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
উপায়ন্তর না পেয়ে ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের দাবি করেছেন কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ীরা। সোমবার (৮ নভেম্বর) তারা যশোর পৌরসভার মেয়রের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছেন।
ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল হক লালু, সাধারণ সম্পাদক নেছার আহম্মদ মুন্না, জজ কোর্ট মসজিদ কমপ্লেক্স কাপড় ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শুকুর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান জানিয়েছেন, মুজিব সড়কের দুইপাশের ফুটপাত তৈরি করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য। কিন্তু এক শ্রেণির ব্যবসায়িরা জোর করে ফুটপাত দখল করে যানজট সৃষ্টি করছে। সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। সারাক্ষণ যানজট লেগে আছে। হাসপাতালের দিকে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। স্কুল কলেজ, অফিস, আদালতগামী মানুষও চলাচল নির্বিঘ্নে করতে পারছেন না। প্রায় সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। তারা কিছু লোকের নাম ভাঙ্গিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। এর আশপাশের ট্রেড লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে অতিশিঘ্রই তাদের উচ্ছেদ জরুরি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।