ধুনটে সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত-৭
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারকালে এলাঙ্গী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারপিট, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার এলাঙ্গী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী তফশীল অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বর ধুনট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এলাঙ্গী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন। আতাউর রহমান পলাশ ও জিএম সম্রাট এলাঙ্গী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এলাঙ্গী বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারকালে এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান পলাশ ও তার সমর্থক আসাদুজ্জামান লিপ্টন, মনির হোসেন, মেহেদী হাসান বাপ্পি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান বাপ্পি বাদি হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সম্রাটসহ ৬জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অপরপক্ষে সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সম্রাট ও তার সমর্থক ফজর আলী, বেলাল হোসেন আহত হয়েছে। এতে জিএম সম্রাটের সমর্থক নাজমুল হোসেন বাদি চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান পলাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে আতাউর রহমান পলাশ বলেন, সন্ধ্যার দিকে এলাঙ্গী বাজারে আসাদুজ্জামান লিপ্টনের ওষুধের দোকানে বসে নির্বাচনী আলোচনাকালে জিএম সম্রাট ও তার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে লিপ্টনের ওষুধের দোকান ও ২টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করেছে। এ সময় তাদের হামলায় তিনি ও তার ৩ কর্মী আহত হয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে জিএম সম্রাট বলেন, সন্ধ্যার দিকে লিপ্টনের দোকানের সামনে দিয়ে প্রচারকালে আতাউর রহমান পলাশ ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে তাকে ও তার ২ কর্মীকে আহত করেছেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।