শেরপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত বর্জন প্রত্যাহার করলেন আইনজীবীরা
শেখ সাঈদ আহাম্মেদ সাবাব, (শেরপুর) :
শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুনের উদ্যোগে উদ্ভুত সমস্যার সম্মানজনক সমাধান হওয়ায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর আল মামুনের আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন আইনজীবীরা। ৩ নভেম্বর বুধবার ওই কর্মসূচি প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন তারা। এর মধ্য দিয়ে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী ও বিচারিক আদালতে ফের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান আকন্দ জানান, উদ্ভুত অবস্থার আলোকে ২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুনের উদ্যোগে তার সভাকক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় উভয় পক্ষের সৌহাদ্যপূর্ণ আলোচনা ও সম্মানজনক সমাধান হয়। ওই সভায় বিচারকদের মধ্যে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুস সবুর মিনা, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদ এবং আইনজীবী নেতাদের মধ্যে সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান আকন্দ, সাবেক সভাপতি ও দায়রা আদালতের পিপি চন্দন কুমার পাল, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মো. সিরাজুল ইসলাম, একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী ও রফিকুল ইসলাম আধার এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ওই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বুধবার সকালেও জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে আরও একটি ছোট্ট পরিসরে সভায় উভয় পক্ষের সৌহাদ্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ওই বিচারক কাজে যোগ দেন। সেইসাথে আইনজীবীরাও ফিরে যান তার আদালতে।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর এ্যাডভোকেট শাহনূর রহমান রুবেলের দায়ের করা এক মামলার শুনানীকালে সৃষ্ট অবস্থায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর আল মামুনের আদালত থেকে বেরিয়ে যান আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আইনজীবীরা। পরে সমিতির নির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় পরিস্থিতির সম্মানজনক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তার আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়েকদিন ওই অবস্থা চলমান থাকাবস্থায় অবশেষে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন উদ্ভুত সমস্যার সমাধানসহ বার-বেঞ্চের সমন্বয় সাধনে গ্রহণ করেন কার্যকর উদ্যোগ।