গোবিন্দ্রশ্রী ইউপিতে নৌকার মাঝি হতে চান শাহ্ আলম

আব্দুর রহমান, (নেত্রকোনা) :

হাওর-বাওর আর প্রকৃতির সু-বিশালতার মাঝে নানা দূর্যোগ আর প্রতিকূলতায় যেই ভূমি আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল তা হলো নেত্রকোণার মদন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ গোবিন্দ্রশ্রী ইউনিয়ন। কাল পরিক্রমায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর নিজস্ব স্বকীয়তার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। তবে এখনো গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কাঙ্খিত উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে এখনো শতভাগ লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে, মানুষের প্রত্যাশা একজন সৎ, যোগ্য ও কর্মঠ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসুক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচল ব্যক্তিত্ববান জনপ্রিয় একজন আসুক।

এদিকে বিভিন্ন তথ্যসূত্রে থেকে জানা যায়, ইতোমধ্যে গোবিন্দ্রশ্রী ইউনিয়নের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ্ আলম।

ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে দলীয় কার্যক্রমে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর শ্রম-ঘামের বিনিময়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে ধরে রেখেছেন।

মোহাম্মাদ শাহ্ আলম (বি.এ) ২০১৫ সাল থেকে ৪নং গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মদন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গোবিন্দ্ৰশ্রী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন। মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সদস্য ছিলেন।

তিনি ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মিছিল, মিটিং, হরতাল ও পিকেটিং-এ অংশগ্রহণ করেন এবং পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ১৭ দিন কারাবরণ করেন। জামাত বিএনপি আমলে ১৯৯১ হইতে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বহুবার তৎকালীন কুখ্যাত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ও তার বাহিনীর রোষানলে পড়ে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তি লাভ করা পর্যন্ত মদনের রাজপথে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরিফুল ইসলাম রিপুল ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বগীর নেতৃত্বে প্রতিটি মিছিল মিটিং ও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ২০০২ সালে অপারেশন ক্লীন হার্টের সময় সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে আত্মগোপনে ফেরারি অবস্থায় ছিলেন।

মোহাম্মদ শাহ্ আলমের পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত একটি পরিবার। তার পিতা মৃত জালাল উদ্দিন, মাতা মোছাঃ মালেকা আক্তার। তার ছোট দুই ভাই ও স্ত্রী আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তত। ছোট ভাই মোঃ নূর আলম টিটু ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য, ছোট ভাই মোঃ কবির আলম সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোহাম্মদ শাহ্ আলমের স্ত্রী মোসাঃ মার্জিন আক্তার বর্তমানে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার।

গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে

মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, "৪নং গোবিন্দ্রশ্রী ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের যেই উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে এর শতভাগ বাস্তবায়ন ঘটিয়ে নেত্রকোণার মদন উপজেলার ৪নং গোবিন্দ্রশী ইউনিয়নকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত ইউনিয়নে রূপ দিতে চাই।

সর্বোপরি আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছায়াতলে থেকে আজন্ম বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠন ও উন্নত সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমার নিজ এলাকা ৪নং গোবিন্দ্রশ্রী ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন করতে চাই। মানুষকে ভালোবেসে তাদের সুখে-দুখে সার্বক্ষণিক পাশে থাকতে চাই। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে যেনো আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারি সেজন্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। আশা করি, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ও গোবিন্দ্রশ্রী ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নের জন্যে আমাকে মনোনয়ন দেবেন এবং আমি নির্বাচনে শতভাগ বিজয়ী হবো।"