শিরোনাম

South east bank ad

ইউপি নির্বাচন নিয়ে সহিংসতায় যুবকের হাত পায়ের রগ কেটে নদীতে নিক্ষেপ

 প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বগুড়ার শিবগঞ্জের বিহার ইউনিয়ন আবারও উপ্তপ্ত হয়ে ওঠেছে। গতকাল রবিউল ইসলাম নামে এক যুবকের হাত-পায়ের রগ কেটে নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে নৌকা মার্কার প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এসময় ২০টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। আহত রবিউল ইসলাম (২৮) নিজেও আওয়ামী লীগের কর্মী। তবে শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রবিউলের ভাই শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী হওয়ায় রবিউল ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগ নেতা মতিউর রহমানের পক্ষে কাজ করছিলো।

রবিউলের ভাই বিহার ইউপি সদস্য আবু রায়হান জানান, এবার ভোটে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই মহিদুল ও তার কয়েকজন ক্যাডার গ্রামে গ্রামে তান্ডব শুরু করে। গত ১৭ অক্টোবর রাতে তারা বিহার হাটে অবস্থিত বিদ্রোহী প্রার্থীর মোটরসাইকেল মার্কার অফিসে হামলা চালিয়ে ২জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে এবং হাটের ওপরে দুটি দোকান ভাঙচুর করে। ওই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হলেও পুলিশ কোন আসামীকেই গ্রেফতার করেনি।

রবিবার সকাল থেকে তারা বিহার বাজারে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মারপিট শুরু করে। পরে সম্মিলিতভাবে তাদের বাধা দিলে তারা বাজার ছেড়ে বিভিন্ন পাড়ায় ঢুকে তান্ডব শুরু করে। এক পর্যায়ে তার বাড়িতে হামলা করে সেখানে থাকা তার ভাই রবিউলকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই হাত ও ডান পায়ের রগ কেটে দিয়ে নাগর নদীতে তাকে ফেলে দেয়। একই সময় তাদের গ্রাম মোন্নাপাড়ার অন্তত ৬টিসহ আশপাশের অন্তত ২০টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

রায়হান জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে তার ভাই শিমুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন তরে মুমুর্ষ অবস্থায় মইদুল ও তার সহযোগিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ফেলে দেয়। সেখানেই মারা যায় শিমুল। ওই মামলায় প্রধান আসামী মহিদুল চেয়ারম্যান। এদিকে এবার নির্বাচনে তার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

এবিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় চেয়ারম্যানপ্রার্থী মহিদুল ইসলামের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পরপরই শিবগঞ্জ হাসপাতাল এলাকায় মহিদুলকে আটকে চেষ্টা চালানো হয়। এসময় তিনি তার মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: