ট্রলারে মোটরসাইকেল পারাপারের অভিযোগে ৪ জনের কারাদণ্ড
আরাফাত হাসান, (মাদারীপুর) :
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে ঝঁকি নিয়ে দিনের পাশাপাশি রাতেও অবৈধ ট্রলারে যাত্রী ও মোটরসাইকেল পারাপারের অভিযোগে পৃথক দুটি অভিযানে চার জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার আটককৃত প্রত্যেককে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পশ্চিম শিমুলিয়া এলাকার তৈয়ব খানের ছেলে মনির খান (৩১) ও মো. মহসিন খান (২৪) এবং মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উচমান বেপারীকান্দি এলাকার ধলু হাওলাদারের ছেলে স্বপন হাওলাদার (৩২) ও একই এলাকার শাজাহান মাদবরের ছেলে সোবাহান মাদবর (২৪)।
ভ্রাম্যমান আদালতের সূত্র জানায়, দিনের পাশাপাশি রাতেও ঝুঁকি নিয়ে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে ট্রলার চলাচল করছে। ট্রলারগুলো শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ৫০০ মিটার দূরে কাঁঠালবাড়ি ট্রলার ঘাটে আসছে। আবার কাঁঠালবাড়ি ট্রলার ঘাট থেকে যাত্রী ও মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছে শিমুলিয়া ট্রলার ঘাটে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় ও শনিবার দুপুর আড়াইটায় কাঁঠালবাড়ি ট্রলার ঘাটে অভিযান চালায় শিবচর উপজেলা প্রশাসন। অভিযান ট্রলারে যাত্রী ও মোটরসাইকেল বহন করার অপরাধে শুক্রবার রাতে দুজন ও শনিবার দুপুরে দুজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের চার জনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার নিউজ পেপার ‘ট্রলারে মোটরসাইকেল পারাপার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানতে চাইলে শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন পত্রিকার নিউজের ভিত্তিতে আমরা দুই দফায় সরেজমিনে ট্রলার ঘাটে যাই। সেখানে গিয়ে অবৈধ ট্রলারে মানুষ ও মোটরসাইকেল পারাপারের সত্যতা পাই আমরা। শুক্রবার রাতে ও শনিবার দুপুরে আমি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রাকিবুল হাসান অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে আটক চার জনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘাটে এসব অবৈধ ট্রলার বন্ধে আমরা এবার কঠোর অবস্থানে আছি। যারা ট্রলারগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তাদের কঠোর হুশিয়ারিও করেছি আমরা। অবৈধ এসব নৌযান চলাচল বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।’