অসহায় দুই পাড়ের শতাধিক ব্যবসায়ী
সুনান বিন মাহাবুব, (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর পায়রা সেতু উম্মুক্ত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতের পথ খুলে গিয়েছে। স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ফেরী বিড়ম্বনা। সেই সঙ্গে বন্ধ হলো পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ফেরিঘাটের দুইপাড়ের শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এক মাত্র আয়ের উৎস। ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জীবিকা উপার্জন নিয়ে উৎকণ্ঠায় পড়েছেন দেড় শতাধিক টং ঘরের এবং ফেরিওয়ালা খাবার বিক্রেতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তাদের চোখে মুখে অসহায়ত্বের ছাপ। গত রবিবার ২৪ অক্টোবর পায়রা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে দেখা যায় ফেরিঘাটের দুই পাড়ের দোকান মালিকরা মালামাল সরিয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
দোকান মালিক সুলতান গাজি বলেন, “প্রায় ৩০ বছর ধরে এই ঘাটে দোকানদারি করি। জীবনের সুখ দু:খের বহু স্মৃতি এই ঘাটের সাথে জড়িত। সেই সব স্মৃতি কখনোও ভুলে যাওয়ার মতো নয়। দোকানমালিক আলামিন, নুরুজ্জামান, আরিফ, মুসা বলেন আমরা দির্ঘদিন ধরে এই ঘাটে ব্যবসা করে সংসার চালাতাম। এই ঘাট বন্ধ হওয়ায় আমরা নি:শ্ব হয়ে গেছি”।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পায়রা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশি-বিদেশি ১৩শ’র অধিক শ্রমিক পাঁচ বছর কাজ করে নির্মাণ করেছেন সেতুটি। তবে প্রকল্প অনুমোদন থেকে উদ্বোধন পর্যন্ত ৯ বছরের মতো সময় লেগেছে সেতু চালু হতে।
এদিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া লেবুখালীর ফেরিঘাটের দুই পাড়ের দোকান মালিকরা অভিযোগ করে বলেন তাদের এই দু:সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিনিধিই খোজখবর নেয়নি।