শিরোনাম

South east bank ad

সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপে মুখর গ্রামীণ জনপদ

 প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এইচ কবীর টিটো, (গফরগাঁও) :

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের বাকি ৪র্থ,৫ম ধাপ। কিন্তু সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ ও গণসংযোগে পুরোদমে নির্বাচনী হাওয়া বইছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা পাগলা থানা ও গফরগাঁও থানার গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে। এই উপজেলা দুইটি পূর্নাঙ্গ থানা নিয়ে গঠিত।

ভোটারদের নজরকাড়ার চেষ্টায় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ভোটারদের ঘরের দরজায় কড়া নাড়া থেকে শুরু করে মাঠেঘাটে টুকরি কোদাল নিয়ে মাটি কাটার ছবি,মিটিং মিছিল,জনসভা,লিফলেট, উঠান বৈঠক,গোষ্ঠীর মিটিং এর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে নিজেকে অন্যদের চেয়ে বেশি এগিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেউ কেউ। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের আগামী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান/মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে। তবে ভোটারদের প্রধান আগ্রহ কে থাকছেন নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী। কে হচ্ছেন আগামীর চেয়ারম্যান? ১৫টি ইউনিয়নের ভোটার ও প্রার্থীদের সাথে কথা বলে নানা মত নানা পথের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে এ সব তথ্যে।

কেউ বলছেন,নৌকা প্রতীকে নির্বাচন না দিয়ে প্রতীকটি উন্মুক্ত করা হোক।তাহলে ভোট হবে এবং মানুষ তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে।

আবার কেউ বলছে, দলীয় প্রতীক তৃণমূলের মন্দ প্রার্থীদের হাতে উঠে আসে।সিলেকশন কখনোই সঠিক হচ্ছে না বলে মত প্রকাশ করেন। দলের নিবেদিত নেতা কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছে।এতে দলের ভিতরে গোপন ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিজ্ঞজনরা মনে করছেন। যা নাকি একটা সময় হয়তো পাহাড়ের উপর থেকে ঢালুতে গড়িয়ে পড়ার মত পারে বিপদজনক হতে পারে।

১নং রসুলপুর ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-১৭৭৫৩
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন ১। আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম (বর্তমান চেয়ারম্যান)তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় তাঁর পক্ষে বিপক্ষে নানা মত রয়েছে।এলাকাবাসীর অনেকের মতে তিনি ভালো কাজ করে আলোচনায় উঠে আসতে পারেননি।চেয়ারম্যান হিসেবে জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। তবে মাঠে রয়েছেন দারুণ ভাবে।এলাকায় নিজ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কিছু মাছালম্যান রয়েছে।

মইন সরকার --

তিনিও একবার আওয়ামিলীগ থেকে রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেও নানা ভাবে কিছুটা কোনঠাসা, এলাকায় দারুণ জনমত রয়েছে।

তিনি পেশাগত ভাবে একজন শিক্ষক হলেও রাজনৈতিক সচেতন মানুষ। আরও যারা রয়েছেন, রেজাউল করিম মোস্তফা মন্টু,আঃ মান্নান খান,আনিছুর রহমান,ইকবাল হোসেন।

২নং বারবাড়িয়া ইউনিয়ন
এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-১৪৫১৫

সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন -আবুল কাসেম (বর্তমান চেয়ারম্যান) তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে নানা ভাবে আলোচনায় আছেন।এলাকায় তাঁর পক্ষে বিপক্ষে জনমত রয়েছে।আবার অনেকের দাবী আবুল কাসেম পূর্বের চেয়ারম্যানদের চেয়ে ভালো কাজ করেছেন নিজ ইউনিয়নে। বিপক্ষেও জনমতের কমতি নেই।

বারবাড়িয়া ইউনিয়নে ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারে মুফতি তারেক হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইশা ছাত্র আন্দোলন গফরগাঁও উপজেলা শাখা ( সদস্য সচিব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বারোবাড়িয়া ইউনিয়ন শাখা), জাহিদ হোসেন,নিজামুদ্দিন ফকির,শফিকুল ইসলাম মাঠে রয়েছেন।

৩নং চরআলগী ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২২৫৮১
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন --মাসুছুদুজ্জামান (বর্তমান চেয়ারম্যান) উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।চেয়ারম্যান হিসেবে শুরুতে বিতর্কের জন্ম দিলেও পরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আলোচনায় আসেন।তিনি নিজ এলাকা সহ সারা গফরগাঁওয়ে অর্থের পিঙ্গচক্ষু হিসেবে পরিচিত রয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান।

দুলাল উদ্দিন আকন্দ-
উপজেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তার কথা শুনা গেলেও বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে আছেন।তবে এই নেতার তেমন কোন নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নেই বলে জানা গেছে।

আব্দুল হামিদ মুনসুর -
সাবেক চরআলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। উপজেলা আওয়ামিলীগের সদস্য।তিনি এলাকায় আলোচনায় আছেন দারুণ ভাবে। জনপ্রিয়তা রয়েছে।সাবেক এমপি মরহুম আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের বিশস্ত রাজনৈতিক কর্মী, সচেতন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ৯০এর এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা ছিলেন।

চরআলগী ইউনিয়নে ইসলামি আন্দোলন সংগঠনের আব্দুল জলিল মাষ্টার(সেক্রেটারী চরআলগী ইউনিয়নে শাখা)চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে রয়েছেন।সংগঠনটির নেতারা বলছেন সাধারণ মানুষ বিকল্প কিছু চায়,সেই বিকল্পের আমাদের প্রার্থীর কোন বিকল্প নেই।

এসএম মাইনুদ্দিন -
সাবেক চেয়ারম্যান চরআলগী ইউনিয়ন পরিষদ।এবারও তিনি নৌকার মাঝি হতে চান।

ডাঃ এসএম শফিক উদ্দিন- তিনি কৃষক লীগ উপজেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক,তিনি নির্বাচনী প্রচারে মাঠে রয়েছেন।তিনি জনগণের সাথে মিলে ইউপি পরিষদ কে নতুন ভাবে সাজাতে প্রত্যয়ী মনোভাব ব্যক্ত করেন।

৪নং সালটিয়া ইউনিয়নঃ

এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২১৭৫৬
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন --নাজমূল হক ঢালী (বর্তমান চেয়ারম্যান) সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের সময়কার উপজেলার রাজনীতিতে বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সচেতন কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।তিনি একাধিকবার সালটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।তার পক্ষে বিপক্ষে জনমত থাকলেও তিনি দারুণভাবে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন অতিত- বর্তমানে।

আশরাফ সিদ্দিকী -
তরুণ ও মেধাবী আওয়ালীগ নেতা।তিনি সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ-৪নং সালটিয়া ইউনিয়ন শাখা ও সদস্য বাংলাদেশ কৃষক লীগ গফরগাঁও উপজেলা শাখার। আশারাফ ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছাত্র নেতা,পরিশ্রমী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তৃণমূলে পরিচিতি রয়েছে।তিনি বর্তমানের অনেকের মধ্যে বয়সে তরুণ।
আরো একজন মাঠে কাজ করছেন তিনি সিদ্দিকুর রহমান দালিপ।

৫নং যশরা ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-১৮৬৬৯
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন

তরিকুল ইসলাম রিয়েল--
(বর্তমান চেয়ারম্যান)। তিনি যশরা ইউনিয়নের আলোচিত জনপ্রতিনিধি।রাজনৈতিক বিচক্ষণ। করেছেন ছাত্র রাজনীতি।তৃণমূলে তাকে নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মতামত থাকলেও বিকল্প কেউ উঠে আসতে পারেনি এখন পর্যন্ত বলে, এলাকাবাসীর দাবি।

আব্দুল কাদের আরজু-
তার বহু পদ-পদবীতে ভর পুর একজন নেতা। এলাকায় জনসংযোগ চালাচ্ছেন।তিনি বয়সে একেবারেই তরুণ।

মো: মতিউর রহমান --
পেশায় শিক্ষক,বয়সে তরুণ মুখ।রাজনৈতিক সচেতন,বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব্বচো ডিগ্রি অর্জনকারী। এলাকার তরুণ ও প্রবীণদের প্রিয়মুখ।তিনি সভাপতি আওয়ামী যুবলীগ যশরা ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যশরা ইউনিয়ন শাখা বর্তমান সভাপতি। এবার তিনি যশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে মানুষের মাঝে কাজ করতে চান। করেনাকালীন সময়ে ছুটে গেছেন অসহায় মানুষের কাছে।

মুজিবুর রহমান--- সাবেক চেয়ারম্যান। প্রচারে আছেন,আলোচনার নেই।

৬নং রাওনা ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নে গত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জন্য ইউনিয়নের মুখ উজ্জল হয়েছে, অপকর্মের জন্য আলোচনায় এসেছে তেমনি -- কখনও দাদনে, গাজায়,পাগলে আর মাতালে ভর করে এলাকায় অস্থিরতা এনেছিলো বলে এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক সচেতন মহলের দাবি।
তবে সে ঘাটতি কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে বলে অনেকের দাবি।

এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২০৬৯১
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন -সাহাবুল আলম (বর্তমান চেয়ারম্যান),বয়সে তরুণ হলেও তিনি রাজনৈতিক সচেতন জনপ্রতিনিধি।এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন।তিনি তাঁর বিষয়ে নোট দিতে অস্বীকৃতি জানান।তাই তার বিষয়ে বিস্তারিত লেখা সম্ভব হয়নি।

মোঃ সাদেকুর রহমান সুজন --
রাওনা ইউনিয়নের ছয়বাড়িয়া গ্রামের ছেলে।কঠোর পরিশ্রমী রাজনৈতিক সচেতন প্রজ্ঞাবান মানুষ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাওনা ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক রাওনা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ছিলেন। করোনাকালীন সময়ে দেশের ক্লান্তি লগ্নে অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন সব সময়। এলাকার মানুষের সমস্যায় ছুটে যাচ্ছেন রাত-দিন কে তওয়াক্কা না করে।সুজন একজন চ্যালেজ্ঞিং মানুষ বলে এলাকাবাসী জানান।

আরো যারা মাঠে রয়েছেন আব্দুল জলিল, তুহিন, একেএম আশরাফুজ্জামান সহ অনেকেই।

৭নং মশাখালী ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২৩০৭২

সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন ১।মোস্তফা কামাল মনি (বর্তমান চেয়ারম্যান)। তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হওয়ার কারণে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীতার উপর প্রভাব খাটান বলে অনেকের এই মন্তব্য তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেন,আমি সব সময় দলীয় সিদ্ধান্তের উপর আস্থাশীল। আমি এবারও নৌকার প্রার্থী।তিনি একাধিক বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এস এম সফিক উদ্দিন মাসুম-
তিনি এবার মশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন।করেছেন ছাত্র রাজনীতি। সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, গফরগাঁও উপজেলা শাখা ছাত্রলীগ,যুগ্ন আহবায়ক, কৃষকলীগ,গফরগাঁও উপজেলা শাখা,সদস্য মশাখালী ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগ।

অত্র ইউনিয়নে এস এম সফিক উদ্দিন মাসুমের পরিবার শিক্ষিত মার্জিত, রাজনৈতিক সচেতন এবং মরহুম আলতাফ গোলন্দাজ পরিবারের বিশ্বস্ততা অর্জন করেছেন। গফরগাঁও উপজেলায় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে শ্রম ও মেধা দিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমান এমপি বাবেল গোলন্দাজের তিনি পাশে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
ভালোবাসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে।এলাকায় রয়েছে বিপুলভাবে জন সমর্থন।তিনি এবার চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হতে চান।
আরো যারা মাঠে রয়েছেন,রুকোনুজ্জামান,শফিকুল ইসলাম মিলন,নূরের আলম সিদ্দিকী মিল্টন(অবঃ সেনাবাহিনী সার্জেন্ট),।

৮নং গফরগাঁও ইউনিয়নঃ

এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২২৯৪৪

কথিত আছে এই ইউনিয়নে এক সময় জ্বীন নামের মানুষ চেয়ারম্যান ছিলেন।
এবারের ইউপি সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন শামছুল আলম খোকন-- (বর্তমান চেয়ারম্যান)। তিনি পেশাগত ভাবে একজন শিক্ষক।এলাকায় তার পক্ষে বিপক্ষে জনমত রয়েছে।তিনি হাতি খলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে এখনও দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে জোড়ালো ভূমিকা রাখতে পারেননি বলে এলাকাবাসীর দাবি।

এবারও তিনি নৌকার নির্বাচনে আগ্রহী।তবে তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতার অভাব নেই।তিনি সাবেক ছাত্র নেতা ছিলেন।

দেলোয়ার হোসেন রিপন--
তাকে দেখলেই মনে হবে পাহাড় সমান কষ্ট বহন করে চলেছেন।তবে তিনি তৎকালীন এমপি আলতাফ গোলন্দাজের সময়কার পরিক্ষিত ছাত্র নেতা ছিলেন। দিন - রাত গত ৩০ বছর সমান কাটিয়েছেন দ্বীর্ঘশ্বাসে বলে জানা যায়। তিনি যেন রোবট মানুষ।মানুষের কাজে ও উপকারে" না" শব্দের ব্যবহার তাঁর কাছে নেই বলে উপকার প্রাপ্তিরা স্বীকার করে। করেছেন ছাত্র রাজনীতি লড়াকু মেজাজে।পিতার অঢেল সম্পদ কমিয়ে এনেছেন তলানিতে। শুধুমাত্র জানীতির জন্য।

গফরগাঁও উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি।"৯০"এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দারুণ পরিচিত ও কারানির্যাতিত- গ্রহণযোগ্য এই ছাত্র নেতা এবার নৌকার হাল ধরতে চায়।তৎকালীন ছাত্রলীগকে শক্ত হাতে ঢেলে সাজানোর দায়িত্বশীল কাজ করেছেন প্রয়াত আলোচিত জননেতা সাবেক তিন বারের এমপি আলতাফ গোলন্দাজের নির্দেশে।

রুবায়েত ইবনে হাকিম বাপ্পী--
যুগ্ম আহবায়ক, গফরগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সাবেক সহ-সভাপতি,গফরগাঁও প্রেসক্লাব, সাংবাদিক মোহনা টেলিভিশন লি:ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।পিতা -মাতা শিক্ষক ছিলেন। ক্লিন ইমেজের তরুন প্রার্থী, নব্বই দশকে ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন, স্পষ্টবাদী সু-বক্তা, গফরগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক।পারিবারিক ভাবে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে যুগযুগ গুরুত্বপূর্ণ পদ বহন করেছেন।

রুবায়েত ইবনে হাকিম বাপ্পী এবার তিনি নৌকার মাঝি হয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কাজ করতে চান।

আরো একজন মাঠে রয়েছেন বলে জানা যায়,তিনি ছাত্রলীগ গফরগাঁও উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মন্ডল (তাঁর ব্যপারে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি ফোন না ধরার কারণে)।

৯ নং পাঁচবাগ ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নে এক সময় চেয়ারম্যান হয়েছেন জাত বিবেচনা করে।বিচক্ষণ, রাজনৈতিক সচেতন মানুষেরা আগে অত্র এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতেন।এখানে তৃণমূলে বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের নেতা কর্মী রয়েছেন।জামাত বিএনপি র নিরব ভোট রয়েছে।

এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২১৮৭৫

সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন

শাহ কামরুল ইসলাম ফকরুল ---
(বর্তমান চেয়ারম্যান)।এলাকাবাসীর মন্তব্যে,তিনি নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় প্রভাবশালী ছাত্র নেতা ও যুব নেতাদের কথা অনুসরণ করতে গিয়ে এলাকায় দারুণ ভাবে ব্যার্থ হয়েছেন। বর্তমানে মাঠে কোন প্রকার প্রচার নেই।অনেকের মতে তিনি সেচ্ছায় ত্যাগ করতেও রাজী আছেন পদ-পদবী।তবে সংগঠন চাইলে আবারো প্রার্থী হতে পারেন।

আন্জাম সারোয়ার-

এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে।তিনি এই ইউনিয়নের বিচক্ষণ, সচেতন এবং বর্তমানে আলোচনার তুঙ্গে আছেন বলে জানাগেছে।এলাকাবাসী তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে নানা বয়সী মানুষ তাঁর পক্ষে মত দেন।

ফেরদৌস আহমেদ খান--
তিনি গফরগাঁও একটি কলেজের শিক্ষক।এলাকায় পরিচিতি আছে।মাঠে কাজ করছেন।

মাহামুদুল হাসান -

তিনি ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি। তরুণদের মাঝে আলোচনা রয়েছেন।
পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।এবার তিনিও নৌকার মাঝি হতে চান।

ইসলামি আন্দোলন--

সংগঠনের পাঁচবাগ ইউনিয়নে মাওঃ শামীম হোসাইন( জয়েন্ট সেক্রেটারি পাগলা থানা শাখা) চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন।এই সংগঠনের নেতারা বলেন,ক্ষমতাসীনদের দলীয় প্রার্থী এই ইউনিয়নে বেশি থাকায় আমাদের প্রার্থী জয়ের সুযোগ হাত ছাড়া করবেনা।

১০নং উস্থি ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-১৮৫৮৭
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন --নজরুল ইসলাম তোতা (বর্তমান চেয়ারম্যান)। চেয়ারম্যান হিসেবে মোটামুটি কাজ করেছেন।এলাকায় বর্তমান গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে শফিউল বাশার মনির থেকে পিছিয়ে রয়েছেন বলে এলাকাবাসীর দাবী।

মনির হোসেন মহসিন--

সদস্য গফরগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের।তিনিও মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। দারুণ পরিশ্রমী একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত আছেন।

১১নং লংগাইর ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-১৯৭৫৮
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন
আব্দুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব (বর্তমান চেয়ারম্যান)।প্রজন্ম '৭১'।তিনি সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন।মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে পত্রিকায় লিখছিলেন অন্যায় -অবিচারের বিরুদ্ধে। কেন লিখেন,শোকজ করেন তৎকালীন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি কোন কথা না বলে, চাকরি ছেড়ে দেন।
এরপর থেকে কলম চলছিলো টর্পেডো গতিতে। কলম এবং কন্ঠরোধ করতে তার উপর দুষ্কৃতকারীরা ফরমায়েশি হামলা করে। মারাত্মক ভাবে আহত হলেও কোন ভাবে বেঁচে ফিরেন।আবারও সুস্থ হয়ে ফিরে এসে ২০১২ সালে 'পিস্তল এমপি শিরোনামে 'সমকালে সংবাদ শিরোনাম লিখে সারা বাংলাদেশ সহ বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হোন।গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয়ার লক্ষে নিজ ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।করোনা মহামারীতে গ্রামের মাঠ থেকে ঘরে ত্রাণ তৎপরতায় ছিলো দারুণ ভূমিকা।
তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মুখোমুখি হয়েছিলেন।

তাঁর বিরুদ্ধে, যে কারো সমালোচনা সবার সামনে করে ফেলেন বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।

শফিকুল ইসলাম-
মরহুম আলতাফ গোলন্দাজের(সাবেক তিন বার সংসদ সদস্য) শাসনামলে সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।এলাকায় পরিচিতি রয়েছে দারুণ।
পক্ষে বিপক্ষে সমালোচনায় উঠে আসেন বারবার। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও আওয়ামিলীগের রাজনীতিতে রয়েছে দীর্ঘ পদচারণা।

জামাল পালোয়ান-

জামাল আহমেদ পাহলোয়ান লংগাইর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লংগাইর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক ছাত্র নেতা।

লংগাইর ইউনিয়নে রয়েছে ইসলামি আন্দোলনের আলহাজ্ব রইছ উদ্দিন( সভাপতি লংগাইর ইউনিয়ন শাখা) চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন বলে সংগঠন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।

১২নং পাইথল ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২০৬৩২

সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন ১। মোঃ আক্তারুজ্জামান ঢালী(বর্তমান চেয়ারম্যান)।তিনি এলাকায় একজন আলোচিত চেয়ারম্যান। ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ থেকে ৯ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ বিএনপিতে যোগদান করেন বলে এলাকাবাসী জানান। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় চেয়ারম্যান হিসেবে ভূমিকা একেবারে সামান্য বলে জানাযায়।

শওকত জাহান মোহন-

বেশ আলোচিত একজন প্রার্থী।সাবেক ছাত্র নেতা,পরিশ্রমী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তার নামে তৃণমূলে আওয়াজ রয়েছে।গোলন্দাজ পরিবারের সাথে রয়েছে রাজনৈতিক মেলবন্ধন।বর্তমানে এলাকার সর্বাদিক আলোচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বলে এলাকাবাসী জানায়।

রফিকুল ইসলাম ঢালী--
তিনিও সাবেক ছাত্র নেতা।এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন।জনপ্রিয়তা রয়েছে।দীর্ঘ দিন ধরে সংগঠনের হয়ে রেখেছেন নানা ভূমিকা।করোনা মহামারীর সময় ছুটে গেছেন অসহায় মানুষের পাশে।

১৩নং দত্তেরবাজার ইউনিয়নঃ

এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২৫৫৪৯
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন

রোকসানা (বর্তমান চেয়ারম্যান)। স্বামী মোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামি যুবলীগ নেতা আততায়ীর হাতে জীবন দেন।
সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিনের সময় তিনি প্রথম ইউপি মহিলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তার পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।

শাহানশা খান বুলবুল(তথ্য দিতে ব্যর্থ),
আলোচনায় আছেন -মাহাবুব আলম বাবলু,

আফাজ উদ্দিন খোকা---
স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা।প্রচারে রয়েছেন।করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন।রাজনৈতিক প্রতিভাবান আদর্শবান একজন কর্মী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।

১৪নং নিগুয়ারী ইউনিয়নঃ
এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২৬২১৩
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন ১।শাহাবুদ্দিন খান (বর্তমান চেয়ারম্যান)। এলাকায় রাস্তা ঘাট গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে ভালো ভুমিকা রাখতে না পারার অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। তবে অনেকের মতে তিনি মন্দের ভালো।নিগুয়ারী ইউনিয়নে অনেকেই চেয়ারম্যান প্রার্থীহিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
নিগুয়ারী ইউনিয়নে,ইসলামি আন্দোলনের মাওঃ কাজী তাওফিকুল ইসলাম --
(সহ-সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ)ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যোগ্য প্রমাণে নেমেছেন বলে সংগঠন টির নেতারা জানান।
এ ছাড়াও রয়েছেন
মোঃ ইব্রাহিম খান, তাইজুদ্দিন আহমেদ মৃধা, জিয়া হায়দার খান, মাইন উদ্দিন খান , মোঃ হাদিউল ইসলাম শেখ সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য,তাজুল ইসলাম মৃধা সাবেক ইউপি সদস্য , খলিলুর রহমান রুবেল মাস্টার , মোঃ রিয়াজ উদ্দিন খান , মাসুদ সরকার।

১৫নং টাংগাব ইউনিয়নঃ

এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা-২৩৬৫০
সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন --

মোফাজ্জল হোসেন সাগর (বর্তমান চেয়ারম্যান) দুইবারের চেয়ারম্যান হিসেবে বেশ আলোচনায় আছেন।এই ইউনিয়নে জামাত ও বিএনপির নিরব ভোট যে কোন প্রার্থীকে জয়ের মুখ দেখাতে পারে বলে এলাকাবাসী মত প্রকাশ করেন।মোফাজ্জল হোসেন সাগর আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন এর সময় আলোচিত চেয়ারম্যান ছিলেন বলে বয়স্ক সিটিজেনদের আলোচনায় উঠে আসে। বর্তমানে তাঁর পক্ষে বিপক্ষে জনমত রয়েছে।এছাড়া মাঠে রয়েছেন-শরিফুল ইসলাম পলাশ, নিজাম উদ্দিন মাস্টার(মুক্তিযোদ্ধা), আব্দুল্লাহ তালুকদার।

এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য শতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে তৎপরতা আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামিলীগ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের। দলীয় প্রতীকে আগামী তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপ ইউপি নির্বাচন শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহের সবগুলো উপজেলায় মোট পাঁচ ধাপে ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের নাম রয়েছে।

গফরগাঁও উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে আ.লীগের একাধিক প্রার্থী নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে ইউপিতে।

তাই যোগ্যও শিক্ষিত ব্যক্তিকেই দলের একক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে তৃণমূল প্রত্যাশা করে। উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রতিটি ইউপি থেকে দলের একক প্রার্থী নির্বাচন করবে বলে অনেকে যুক্তি তুলে ধরেন। একক প্রার্থী মনোনয়নের জন্য প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেন্দ্র যাচাই-বাছাই করে একক প্রার্থী ঘোষণা দেবে।

গফরগাঁও উপজেলার যে ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে-তার সবকটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অবস্থান সুদৃঢ় থাকলেও দুই তিনটি ইউনিয়ন রয়েছে, যেখানে জামাত এবং বিএনপির ভোট ব্যাংক বলে জানা যায়। প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। সময়মতো সেই তালিকা ঘোষণা করা হবে।

একজন দিনমুজুর মীর খালেক বলছিলেন, কে কেমন ভালা মানুষ, বুঝবার পারতাম যদি মই,আনারস,ছাতি দিয়া নির্বাচন করতো।
তবে গফরগাঁও উপজেলায় গত চেয়ারম্যানদের পুনরায় চেয়ার বহাল থাকার কথাটিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সাবেক বিচক্ষণ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।এখানে নতুনদের অগ্রে আসার বিষয়টি ৩০% বলে মত প্রকাশ করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: