শিবগঞ্জে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর, আহত-১০
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার শিবগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনী প্রচারনাকে কেন্দ্র করে নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা করেছে। হামলায় নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ছাড়াও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৮টায় উপজেলার বিহার ইউনিয়নের বিহার হাটে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামের নামে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতিনের নামে মটর সাইকেল প্রতিক বরাদ্দ করা হয়। বুধবার প্রতিক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নামেন।
বুধবার সন্ধ্যার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু প্রায় ১০০ মটর সাইকেলের বহর নিয়ে বিহার হাট এলাকায় মটর সাইকেল প্রতিকের পক্ষে নির্বাচনী সভা করেন। রাত ৮টার দিকে নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থকরা মটর সাইকেল মার্কার একটি নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় সেখানে রাখা কমপক্ষে ১০ টি মটর সাইকেল ভাঙচুর করে। নৌকা মার্কার কর্মীদের হামলায় মটরসাইকেল মার্কার কমপক্ষে ১০ জন কর্মী সমর্থক আহত হয় বলে দাবি করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমান মতিন।
আহতদের মধ্যে হারুন (৩৫) ও জুয়েলকে (৩৬) শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ সেখান থেকে ফেরার সময় মটরসাইকেল মার্কার কর্মী সমর্থকরা হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশের গাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চারজনকে আটক করে।
বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমান মতিন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ন সমাবেশ করার সময় এ ঘটনা ঘটানো হয়। তারা আমার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। ১০টির বেশি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করেছে। মারপিট করে আমার লোকজনকে জখম করেছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম হামলা প্রসঙ্গে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু ২০/২৫ জন বহিরাগত ক্যাডার বাহিনি নিয়ে বিহার বন্দরে প্রবেশ করে। তারা রিজুর শ্যালক যুবলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে এবং আমার ও নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ন স্লোগান দেয়। এতে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় জনতা প্রতিবাদ করতে গেলে ক্যাডার বাহিনী জনতার উপর হামলা করে। তখন স্থানীয় জনতা প্রতিরোধ করলে তারা নিজেরাই ওই স্থান হতে পালিয়ে যায়। সেখানে ভাঙচুরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সেখানে বহিরাগতদের নিয়ে মটর সাইকেল প্রতিকের পক্ষে নির্বাচনী সভায় উস্কানিমুলক বক্তব্য দিলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বিহার হাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।