শিরোনাম

South east bank ad

মুক্ত বিহঙ্গে ডানামেলে উড়লো ওরা ২০১ জন

 প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :

জন্মলগ্ন থেকেই মুক্ত আকাশে উড়েছে তারা। হঠাৎ-ই মানুষের কাছে হয়েছিল পরাস্থ। খাঁচায় আবদ্ধ জীবন-যাপন করাতে তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে আর বদ্ধ খাঁচায় থাকতে হলো না। মুক্ত বিহঙ্গে ডানামেলে উড়লো ওরা ২০১ জন। হ্যাঁ, সত্যিই তাই। রাজশাহীতে শিকারীর হাতে আটকের পর বেঁচে যাওয়া ২০১টি পাখিকে অবশেষে অবমুক্ত করা হলো। গত মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার বিল ভেলা ও নাটোরের চলনবিলে এসব পাখি অবমুক্ত করা হয়। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজশাহীর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত শনিবার রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের দুই শিকার বাসা থেকে এসব পাখি উদ্ধার করেছিল বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে দুর্গাপুরের দুই শিকারির বাড়ি থেকে মোট ২০১টি পাখি উদ্ধার করা হয়েছিল। আশপাশের মাঠ, বিল থেকে এসব পাখি ধরে ওই ব্যবসায়ীরা ফেসবুকে প্রচার চালিয়ে বিক্রি করতেন। খবর পেয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়। দুই পাখি শিকারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানাও করা হয়। উদ্ধার করা পাখিগুলো রাজশাহীতে বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, খাদ্য সরবরাহ ও পরিচর্যা করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে কিছু পাখি নাটোরের সিংড়ায় চলনবিলে উপযুক্ত পরিবেশ অবমুক্ত করা হয়। পরে গত মঙ্গলবার বিকালে ৮০টি কালিম পাখি, তিনটি পাতিসরালি, একটি ধলাবুক ডাহুক ও একটি জলময়ূও রাজশাহীর পবা উপজেলার বিল ভেলায় অবমুক্ত করা হয়। বাকি পাখিগুলো মঙ্গলবার সকালে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলে অবমুক্ত করা হয়।

এ সময় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সেভ দি ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবী ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: