শিরোনাম

South east bank ad

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে জনসচেতনতায় প্রেস ব্রিফিং

 প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

স্টাফ রিপোটার্স :

সাম্প্রতিক সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের প্রবণতা দেখা যাওয়ায় পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলন্ত ট্রেনে অসচেতনতার ফলে পাথর নিক্ষেপের ফলে অনেক সময় ট্রেন যাত্রী আহত হন এবং সরকারী সম্পত্তি ক্ষতি সাধিত হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় কেউ মজাচ্ছলে চলে বা খেলাচ্ছলে পাথর নিক্ষেপ করে থাকে। কিন্ত এতে অনেক সময় মারাত্বক দূর্ঘটনা সংঘটিত হতে পারে। একটি দূঘর্টনা মানে সারা জীবনের কান্না। এই দূর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তি আমাদের যেকোন কারো পরিবারের সদস্য হতে পারে, হতে পারে কারো মা, হতে পারে কারো বাবা, হতে পারে কারো ভাই-বোন, ও কারো সন্তান, এতে একটি পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকে।

সুতরাং পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে হটস্পট স্থানগুলো চিহিৃত করে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সম্মানিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সম্মানিত স্কুলের শিক্ষক, সম্মানিত মসজিদের ইমামসহ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ সম্মানিত জনসাধারণকে সম্পৃত্ত করে গত ৪/১০/২০২১খ্রিঃ তারিখ হতে প্রতিদিন জনসচেতনতামূলক সভাগুলো করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার আওতাধীন বাড়বকুন্ড রেলওয়ে স্টেশন, ভাটিয়ারী রেলওয়ে স্টেশন, ফৌজদারহাট রেলওয়ে স্টেশন, পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশন, কুমিরা রেলওয়ে স্টেশন বারৈয়াঢালা রেলওয়ে স্টেশন, ফুলতলা রেলওয়ে এলাকায়, লাকসাম রেলওয়ে থানার আওতাধীন আলী শহর রেলওয়ে স্টেশন, ময়নামতি রেলওয়ে স্টেশন, গুনটি ব্রীজ এলাকা, শশীদল রেলওয়ে স্টেশন, ফাজিলপুর রেলওয়ে স্টেশন, লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন, লালমাই রেলওয়ে স্টেশনে জনসচেতনতামুলক সভা করা হয়েছে। উক্ত সভাগুলোতে সম্মানিত অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানদের পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে বর্ণনা করেন, তার জন্য বলা হয়েছে। সম্মানিত স্কুলের শিক্ষকগন যাতে পাঠদানের সময় ছাত্রছাত্রীদের পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে বর্ণনা করেন, তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সম্মানিত মসজিদের ইমানগন জুমার নামাজের খুতবার আগে সম্মানিত মুসল্লিদের পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন, তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সর্বোপরি রেললাইনের বরাবর বসবাসকারী জনসাধারণগন যাতে নিজেরা সচেতন হন এবং তাদের সন্তানদের সচেতন করেন তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং অনুরোধ করা হচ্ছে। পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ হতে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে এব্ং মোটিভেশন করা হচ্ছে।

সুতরাং আমরা সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দকে আপনাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আপনারা যাতে নিয়মিতভাবে পাথর নিক্ষেপের কুফল সংক্রান্তে প্রচার করে খেলার চলে বা মজার চলে পাথর নিক্ষেপ হতে বিরত রাখার সহায়তা করুন। সকলেই নিজে নিজের অবস্থান থেকে সচেতন থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালালে, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের আশে পাশে সকলকে সচেতনতার উপদেশ দিলে, সম্মানিত শিক্ষকগণ পাঠদানে ছাত্র/ছাত্রীদের পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে বর্ণনা করলে, সম্মানিত ইমাম সাহেবরা জুমার নামাজে খুতবার আগে মুসল্লিদের পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে অবহিত করলে ক্রমান্বয়ে সকলেই সচেতন হবেন এবং পাথর নিক্ষেপের মত ঘৃন্য কাজ বন্ধ হবে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধে জনসচেতনতামুলক কার্যক্রম যেমন চালু রেখেছে তেমনি পাথর নিক্ষেপকারীদের সনাক্তের কাজ করে চলছে এবং কেউ সচেতন না হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে আমরা রেললাইন বরাবর বসবাসকারী সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ, সম্মানিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমরা আপনাদের মাধ্যমে আহবান করছি তারা যেন সবাইকে সচেতন করার পাশাপাশি কেউ আইন অমান্য করে পাথর নিক্ষেপ করলে তাকে যেন আইনের আওতায় আনার জন্য সোর্পদ করেন।

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি অপরাধ। এই আইনে (১)১৮৯০ সালের বাংলাদেশ রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ এর জন্য যাবজ্জীবন জেল অথবা দশ বৎসর কারাদন্ডর বিধান রয়েছে (২) উদ্দেশ্যেমুলকভাবে পাথর নিক্ষেপে রেলযাত্রীর মৃত্যুর কারণ হলে প্রমাণিত হলে দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড তদুপরি জরিমানার বিধান রয়েছে (৩) 1890 সনের রেলওয়ে আইন অনুয়ায়ী অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের অপরাধের ক্ষেত্রে অভিভাবকের শাস্তির বিধান রয়েছে।

গত 7/10/2021 তারিখ ফাজিলপুর রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম আউটারে সকাল 10.15 ঘটিকায় সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ এর সংবাদ পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পাথর নিক্ষেপকারী আঃ আজিজ (? কে সনাক্ত করেন। পরবর্তীতে পাথর নিক্ষেপকারী আঃ আজিজ (? এবং তার পিতা জিয়াউল হক(42)পিতা-মৃত আঃ কাদির, সাং-ফাজিলপুর, থানা ও জেলা-ফেনীকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করেন এবং বিজ্ঞ আদালত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

পাথর নিক্ষেপ করলে রেলওয়ে আইনের ১২৭, ১২৮, ১২৯ এবং ১৩০ ধারার শাস্তির বিধান রযেছে। এক্ষেত্রে আমরা অপরাধীকে সনাক্ত করে মামলা রুজু করে আইনের আওতায় আনা হবে। সুতরাং আমরা সকলকে আপনাদের মাধ্যমে পাথর নিক্ষেপের মত ঘৃন্য কাজ হতে বিরত থাকার জন্য সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক পাথর নিক্ষেপ প্রতিরোধ কার্যক্রম অব্যাহত আছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। পাথর নিক্ষেপের মত ঘৃন্য কাজটি বন্ধের জন্য সবাইকে এগিয়ে এসে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে সহায়তা করুন এবং কেউ পাথর নিক্ষেপ করলে তাকে সনাক্ত/ চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সোর্পদ করুন ও ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধের ব্যবস্থা নিন এবং যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করুন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: