শিরোনাম

South east bank ad

রাজশাহীতে সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ১০

 প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :

রাজশাহীর বাগমারায় বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বীরকয়া গ্রামে হারেজ আলী এবং মকবুল হোসেনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, হারেজ আলী (৬৫) , তার ছেলে আবু সায়েম বাপ্পি (৪৫), মামুনুর রশিদ (৪৩), সিরাজ উদ্দীন (৪০), সিদ্দিক আলী (৩৮)। আহতদের মধ্যে আবু সায়েম বাপ্পি ও সিরাজ উদ্দীনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে মকবুল হোসেনের পক্ষের ৫ জনের অবস্থাও আশংকাজনক । তাদেরকে সবাইকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা হলেন, মকবুল হোসেনের ভাতিজা মফিজ উদ্দীনের ছেলে মতিউর রহমান (৪৫), প্রতিবেশী মৃত বাহার আলীর ছেলে শুকুর আলী (৫০), বিশুর ছেলে রনি আহম্মেদ (২৮), বাহার আলীর ছেলে রহিদুল ইসলাম (৩০) এবং নজের আলীর ছেলে আসাদ আলী (২৮)।

সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে থেকে ট্রিপুল ৯ এ ফোন করা হলে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানাগেছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় খোঁজনিয়ে জানাগেছে, মকবুল হোসেন এবং হারেজ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় ৪ মাস পূর্বে স্থানীয় লোকজন সাথে নিয়ে আমিন দিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। সে মোতাবেক হারেজ আলীর ছেলেরা বাড়ি নির্মাণ করে।

এদিকে সীমানা নির্ধারনী খুটি নিয়ে বাধে উভয়ের শুরু হয় কথা কাটাকাটি। সেখান থেকে এক পর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ নেয় ঘটনাটি। উভয় পক্ষ দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা,খন্তি সহ বিভিন্ন প্রকার হাতিয়ার নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয়ের শরীরের হাত, পা, মাথা আর বুক বিভিন্ন স্থান কেটে রক্ত বের হতে থাকে। কিছুক্ষনের মধ্যে সংঘর্ষের স্থানে যেন রক্তের হলিতে পরিনত হয়।

তুচ্ছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে জীবন দেয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছিল উভয়ের মধ্যে। উভয় পক্ষই একে অপরের দোষ দিচ্ছেন। এদিকে আহত মতিউর রহমান বলেন, আবু সায়েম বাপ্পি জোর পূর্বক পরিকল্পিত ভাবে তাদের উপরে আক্রমণ চালিয়েছে। তারাই প্রথমে কথা কাটাকাটি সৃষ্টি করেছেন। সেখান থেকেই রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ। তারা সীমানা প্রাচীর নিয়ে কোন বিরোধে জড়াতে চাননি।

অপরদিকে আবু সায়েম বাপ্পি বলেন, আমরা সীমানা রেখে অর্থাৎ পানি পড়ন বাদ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছি। আমরা তাহলে কেমন করে অপরাধ করলাম। মকবুল হোসেন পানি পড়র না রেখেই সীমানা খুটি থেকে বাড়ির প্রাচীর দিয়েছেন। আমরা তাদেরকে সীমানার কথা বলতে গেলেই তারা প্রতিবেশি নিয়ে হামলা চালিয়েছে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, সীমানা নিয়ে উভয় পক্ষে বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। তাদেরকে বলেছি আপনারা আগে সুস্থ হন তার পর অভিযোগ করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: