তালতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস প্রায়ই থাকে তালা বন্ধ
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
বরগুনা জেলার নব গঠিত উপজেলা তালতলী।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক সময়ের সংসদীয় আসন এই তালতলী উপজেলা। এখানে সরকারি প্রায় প্রতিটা দপ্তরের নিজস্ব ভবন রয়েছে। অথচ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের দপ্তর থাকলেও সপ্তাহের চারদিনই থাকে তালাবদ্ধ।
সেবা গ্রহীতারা সেবা নিতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে অফিস বন্ধ থাকায় ফিরে যেতে হয় সেবা না নিয়েই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশুদের বিভিন্ন সেবা চালু করলেও তালতলী উপজেলার মানুষ এই দপ্তর থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে সঠিক সেবা থেকে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম এবং অফিস সহকারি সফিকুল ইসলাম তাদের ইচ্ছে মতো অফিস করেন। বেশিরভাগ সময় থাকেন উধাও। তাদের ফোন করলেই শোনা যায় হাজারো অজুহাত। বিশেষ করে শাহিনুর বেগম দুটি উপজেলার দায়িত্বে থাকায় যে উপজেলা থেকে ফোন করা হয় শুনেই অন্য উপজেলার কথা বলেন।
এছারাও জেলা অফিস ও ঢাকার কথা জানিয়েও বলেন আমি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত আছি। এদিকে যে উপজেলায় তিনি দায়িত্বে আছেন; সেখানে নারীরা রয়েছে সেবা বঞ্চিত। আর বিভিন্ন অজুহাতের ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের।
শাহিনুর বেগম বরগুনা জেলার তালতলী এবং বেতাগী উপজেলার দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে অফিস সহকারি সফিকুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি জুম মিটিংএ। জুম অ্যাপসকে কাজে লাগিয়ে অফিস বন্ধ রেখে অদৃশ্য স্থানে বসে জুম মিটিংএ অংশ গ্রহন করছেন অফিস সহকারি সফিকুল ইসলাম।
এমন সব অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা জানিয়েছেন তালতলী উপজেলার সেবা বঞ্চিত নারীরা।
এবিষয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি মুঠো জানান- অসুস্থতার জন্য ছুটির একটি আবেদন দিয়ে শাহিনুর বেগম ঢাকা অফিসে গিয়ে বিভিন্ন তদবির করছে।
তার বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তার ভাই ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে। আর তার বরগুনা শহরে বাসা রয়েছে সেখানে বসে দুই উপজেলার দাপ্তরিক কাজ করে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ কাওসার হোসেন বলেন- উপজেলা মহিলা কর্মকর্তার অফিস বন্ধ থাকার খবর পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই দপ্তরের কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়ে ঢাকা আছেন।
তবে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করব ।