শিরোনাম

South east bank ad

বগুড়ায় শারদীয় উৎসবে সাজতে শুরু করেছে ৬৯৩ টি পূজা মন্ডপ

 প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

ঋতু বৈচিত্র্যের ধারাবাহিকাতায় প্রকৃতিতে বইছে পূজার আগমনী বার্তা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ১০ অক্টোবর মহাপঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে। পরের দিন মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠিকতা। ধূপ, ঘণ্টা আর ঢাকের তালে তালে শুরু হবে শারদীয় উৎসব। এ কারণে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পূজার প্রস্তুতিতে। তাই শেষ সময়ে চলছে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিওত রঙের কাজ। সুন্দর থেকে সুন্দরতর প্রতিমা তৈরি করতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন সম্প্রদায়ের পালেরা।

এ বছর বগুড়া জেলায় ৬৯৩টি ম-পে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে বগুড়া সদরে ১১৯টি, শেরপুরে ৮৬, শিবগঞ্জে ৬০টি, গাবতলীতে ৭৭, শাজাহানপুরে ৫৭, সারিয়াকান্দিতে ২৩, সোনাতলায় ৫০, আদমদীঘিতে ৬৩, দুপচাঁচিয়ায় ৪৩, কাহালুতে ৩৭, নন্দীগ্রামে ৪৪ ও ধুনটে ৩৭টি, ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলায় সর্বাধিক ১১৯টি পূজা ম-প রয়েছে। গত বছর জেলায় পূজা হয়েছিল ৬৩৫টি ম-পে। এবার ৫৮টি পূজা ম-প বেড়েছে।

মধ্য আশ্বিন চললেও বগুড়াতে এখনো আবহাওয়া বেশ গরম। করোনাভাইরাসের প্রভাব অনেকটায় কমে গেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন শুরু করেছে উৎসবের সঙ্গে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে চলছে নানা আয়োজন। উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে যেমন ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমার কারিগরদের ঠিক তেমনি নতুন পোশাকের জন্য জেলা শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানে বেড়েছে ভিড়। দুর্গাপূজাকে ঘিরে বগুড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চলছে সাজসাজ রব।

আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জনের মাধ্যমে দেবী বিদায় নেবেন মর্ত্য থেকে।


জানা যায়, জেলায় নানা আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপুজার প্রস্তুতি চলছে। শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে বগুড়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। শিল্পীদের হাতের কারুকাজে প্রতিমার কাঠামো সেজে উঠেছে। প্রতিমার কারিগররা ৮ থেকে ১০টি করে প্রতিমা নিয়ে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। কয়েকদিনের মধ্যে ম-পে মন্ডপে চলে যাবে প্রতিমাগুলো। ম-পে প্রবেশের জন্য তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে কোথাও। আলোকসজ্জার কাজ চলছে। কারিগররা থেমে নেই। রাত দিন কাজ করে প্রতিমা ফুটিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। কোথাও আবার প্রতিমায় রঙের আচঁড় দেয়ার প্রস্তুতির কাজ চলছে। এখন রঙের আচঁড়ে সেজে উঠবে প্রতিমাগুলো। পূজাকে সামনে রেখে বগুড়া শহরের নিউ মার্কেট, হকার্স মার্কেট, শহরের জলেম্বরীতলা, রানার প্লাজা, নবাববাড়ি সড়কের মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতে পূজায় কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। পূজা কাছে চলে আসায় অনেক পরিবার ব্যস্তার সাথে নতুন পোশাক কেনাকাটা করছেন।

বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: শরফুল ইসলাম জানান, বগুড়া জেলা শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপুজা উৎসব পালনে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৯৩টি মন্ডপ হচ্ছে। শেষ সময়ে এসে দুই থেকে একটি বাড়তে পারে। প্রতিটি মন্ডপের বিপরীতে এবারও ৫০০ কেজি করে সরকারি চাল বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার দেব জানান, ‘জেলায় এবার বেশি সংখ্যাক ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর করোনার কারণে অনেক কিছুই থমকে গিয়েছিল। নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। করোনায় মানুষ বিপদগ্রস্ত। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় উৎসব পালন করা হবে।

বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায় জানান, প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে উৎসবে যোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালনের জন্য প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফয়সাল তানভীর হাসান জানান, শারদীয় দুর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদ্যাপনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: