হাজারটা গুজব ও ষড়যন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাঝেও একটি মানবিক সংবাদ অনেক মূল্যবান-আইজিপি ড. বেনজির আহাম্মদ
মো. রাকিব হোসাইন রনি, (লক্ষ্মীপুর) :
হাজারটা গুজব ও ষড়যন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাঝেও একটি মানবিক সংবাদ অনেক মূল্যবান ভূমিকা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদরের ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর মনসা গ্রামে নদীভাঙা ভূমিহীনদের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত কবরস্থান ও মসজিদের ফলক উম্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, সোস্যাল মিডিয়া প্রথম যখন আসতে শুরু করে। পশ্চিমা মিডিয়া তথা গণমাধ্যমের নীতি নির্ধারকরা চেয়েছিলেন এর মাধ্যমে সরাসরি নাগরিক কর্তৃক সংবাদ তুলে ধরার সুযোগ করে দেবে। অথচ বাংলাদেশের সোস্যাল মিডিয়ায় মানুষের নামে বদনাম, কুৎসা রটনা, চরিত্রহরন, মিথ্যা ও গুজব দিয়ে ভরে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, হাজারটা মিথ্যা, গুজব ও ষড়যন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাঝেও একটি মানবিক সংবাদ অনেক মূল্যবান। বাংলাদেশ পুলিশ সোস্যাল মিডিয়ার স কল বিষয়ে খুবই তৎপর। একটি গণমাধ্যমের সংবাদের কারণেই নদীভাঙা ভূমিহীনদের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে কবরস্থান ও মসজিদের ব্যবস্থা করার সুযোগ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশ আজ অনেক এগিয়েছে। এখানে মানুষের মৃত্যুর পর জায়গার অভাবে কবর দিতে পারবে না তা হতে পারে না। সবারই ধর্মীয় অধিকার রয়েছে। তাই তিনি তাঁর সহধর্মীনি ও পুনাক সভানেত্রীর উৎসাহে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ এলাকার ভুমিহীনদের জন্য সাড়ে উনত্রিশ শতাংশ জমি খরিদ করে এ কবরস্থান ও মসজিদের ব্যবস্থা করেন। আর এ কাজে সহযোগিতার জন্য লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিসহ সকল পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
বক্তব্য শেষে কবরস্থান ও মসজিদ পরিচালনার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে একলক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করে স্থানীয় বৃত্তবানদের সহযোগিতায় ফান্ড গঠন করার অনুরোধ করেন আইজিপি। তিনি এই কবরস্থান ও মসজিদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই এলাকার ভুমিহীনদের জন্য একটি বিশেষ উপহার হিসাবে গণ্য করেন।
এতে লক্ষ্মীপুর পুলিশ পুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যান সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী ও আইজিপি সহধর্মিণী জীশান মীর্জা, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসাইন, পুনাক লক্ষ্মীপুর জেলা সভানেত্রী কাজী বন্যা আহমেদ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) রাইসুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীর ভাঙনে বাস্তুহারা হয়ে সড়কের দুই পাশে বসবাসকারী প্রায় ১০ হাজার ভুমিহীনদের কবরের ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে গণ্যমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আইজিপি’র ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাড়ে উনত্রিশ শতাংশ জমি খরিদ করে মসজিদ ও কবরস্থান নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।