শিরোনাম

South east bank ad

হিমাগারে সংরক্ষিত আলু বিক্রি করতে না পারলে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা

 প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বর্তমানে বাংলাদেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা বছরে ৯০ লাখ টন। এর বিপরীতে চলতি মৌসুমে দেশে আলুর ফলন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টন। শীত দীর্ঘায়িত হওয়া, রোগবালাই কম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আলুর এ বাম্পার ফলন হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী তিন মাসে হিমাগারে সংরক্ষিত ২০ লাখ টন আলু বাজারজাত করতে না পারলে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা লোকসান হতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। এর আগে দেশে আলু উৎপাদনের সার্বিক পরিস্থিতি ও হিমাগার শিল্পের সমস্যা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষক প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় দুর্দশাগ্রস্ত হিমাগার শিল্পের অস্তিত্ব বজায় রাখার স্বার্থে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বিসিএসএ। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে মজুদ থাকা আলুর ওপর ৯ টাকা ভর্তুকি, আলুর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সেক্টরে জাতীয়ভাবে আলু খাওয়া বাধ্যতামূলক করা এবং আলু রফতানিতে নগদ প্রণোদনা ২০ থেকে উন্নীত করে ৩০ শতাংশ করাসহ বিভিন্ন বিষয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আলুর দাম কমে যাওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু বাজারজাত করছেন না। উৎপাদনের যাবতীয় খরচসহ এবার কৃষকদের ব্যয় হয়েছে প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা। কিন্তু হিমাগার পর্যায়ে আলুর বাজারদর কেজিতে গড়ে মাত্র ৮ থেকে ৯ টাকা। প্রতি বস্তায় লোকসান প্রায় ৫০০ টাকা।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: