র্যাব-৪ এর অভিযানে শাহবাগ থেকে বিয়ার ও মদসহ ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করার জন্য র্যাব সদা তৎপর।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সমন্বয়ে ঢাকা মহানগরীর শাহবাগ থানাধীন শাহবাগস্থ নবাব হাবীবুল্লাহ রোড (ময়মনসিংহ সড়ক) হোটেল পিকক লিঃ এর চতুর্থ তলা ভবনে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। হোটেল পিকক লিঃ বার এর কর্মচারীদের বসবাসের চতুর্থ তলার শোয়ার রুমে খাটের নিচে বিশেষ কৌশলে বানানো বক্সে, চতুর্থ তলায় অবৈধ ভাবে বানানো সুরঙ্গ রুম এবং ভবনের নিচে বাইরের পূর্ব পাশে কয়লা রাখার রুমে বিশেষ কৌশলে বানানো সুরঙ্গ রুমে বিপুল পরিমান দেশি-বিদেশী মদ ও বিয়ার অবৈধ ভাবে মজুদ করা হতো। র্যাব এর আভিযানিক টিম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর ডিডি, এডি, পরিদর্শকসহ তাদের আভিযানিক টিম যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর র্যাবকে নিশ্চিত করেন যে, উক্ত বারের তৃতীয় তলায় শুধু মাত্র তাদের অনুমোদিত গোডাউন আছে। এছাড়া অন্যান্য গোডাউন গুলো অবৈধ নিশ্চিত করার পর তাদের সহায়তায় তল্লাশী পরিচালনা করে ৪র্থ তলা সুরঙ্গ রুম ও খাঠের নিচ থেকে ও ভবনের নিচে বাইরের পূর্ব পাশে কয়লা রাখার রুমে বিশেষ ভাবে তৈরী সুরঙ্গ রুম থেকে অবৈধ ভাবে মজুদ করে রাখা কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৪৯৬ ক্যান বিদেশী বিয়ার, ১৪১৬ ক্যান দেশী বিয়ার, ১১৫ বোতল বিদেশী মদ এবং ১৪২৮ বোতল দেশী মদসহ ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা হল:- মোঃ মজিবুর রহমান (৫০), জেলাঃ বাহ্মণবাড়ীয়া; মোঃ লিটন (৩৫), জেলাঃ বাহ্মণবাড়ীয়া; মোঃ ওলিউর রহমান (৩৮), জেলাঃ বাহ্মণবাড়ীয়া এবং মোঃ জহিরুল ইসলাম (৩৮), জেলাঃ নারায়নগঞ্জ।
হোটেল পিকক লিঃ এর বিভিন্ন নথির মাধ্যমে জানা যায় যে, উক্ত বারের মালিক ফিরোজুর রহমান। পরবর্তীতে উক্ত বারের মালিক এবং বাড়ীর মালিককে ডাকা হলে তারা উপস্থিত না হওয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর ডিডি, এডি, পরিদর্শক সহ ও অভিযানিক দল র্যাব-৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের উপস্থিতিতে হোটেল পিকক লিঃ এর কাগজপত্র পর্যালোচনা করে উপরেল্লিখত মাদক অবৈধ ভাবে অননুমোদিত গোপন স্থানে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় তা জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য যে, অধিক লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে অনুমোদিত বৈধ মাদক এর সাথে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন গোপন বিশেষ সুরঙ্গে অননুমোদিত স্থানে বিভিন্ন দেশি-বিদেশী মাদকদ্রব্য মজুদ করে অবৈধ ভাবে বিক্রি করার অপরাধে হোটেল পিকক লিঃ এর মালিক, বাড়ির মালিক এবং বারের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান।
ভবিষ্যতে এরূপ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।