ধুনটে নারী ইউপি সদস্যর হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভাইয়ের মামলা দায়ের
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য রেশমা খাতুন (৩৮) হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নানামুখি তদন্তেও শনাক্ত করা যায়নি হত্যাকারী কারা। এ কারণে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ঘাতক চক্র ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহত রেশমা খাতুনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান নয়ন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে ওই মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ নেই। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রেশমার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ধুনট থানা থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রেশমা খাতুন উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের স্ত্রী এবং সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধারঘরা গ্রামের আলতাব আলীর মেয়ে। তিনি মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে ফরিদুলের সঙ্গে বিয়ে হয় রেশমার। ফরিদুল পেশায় একজন ভটভটিচালক। দাম্পত্য জীবনে রেশমা দুই সন্তানের জননী। পাঁচ বছর আগে তিনি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। গত শনিবার বিকেলে চিকিৎসার জন্য শেরপুর যাওযার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন রেশমা। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। তবে নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি। এ অবস্থায় গত বুধবার বিকেলে রেশমার মৃতদেহ স্থানীয় কুড়িগাতী গ্রামের মাঠে ধানক্ষেতের ভেতর থেকে রেশমার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নানামুখি তদন্তে এই হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের কাজ করা হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হবে।