বরগুনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গায়ে রং তুলির ছোঁয়া
এম.এস রিয়দ, (বরগুনা) :
"হারাবেনা শিক্ষা, শিক্ষার্থীরা পাবে সঠিক দীক্ষা" এমন প্রত্যয় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পূর্ব প্রস্তুতি স্বরূপ ঢেলে সাজাতে ব্যস্ততম সময় পার করছে শিক্ষক-কর্মচারীরা। ধুয়েমুছে রং তুলির ছোঁয়ায় যেন এক নতুনত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। রং দিয়ে আঁকা নানা ডিজাইনের আলপনায় সাঁজতে শুরু করেছে বরগুনা জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
দীর্ঘ অপেক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর। ৫৪৩ দিন বা এক বছর পাঁচ মাস ২৪ দিন বন্ধের পর খুলছে দেশের সকল স্কুল ও কলেজ।
এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করলেও অন্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস করবে সপ্তাহে মাত্র একদিন। যথাযথ প্রশাসন চাইলে একই দিনে খুলতে পারবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন- অনেকগুলো দিন আমরা আমাদের কাঙ্খিত স্বপ্ন ছোঁয়ার মাধ্যম থেকে দূরে সরে ছিলাম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুললে হয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হারাতো তাদের মূল শিক্ষা ব্যবস্থাকে। বাংলাদেশ হারাতো অদম্য মেধা শক্তি সম্পন্ন কিছু ভবিষ্যতকে। এতে করে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সরকারি-বেসরকারি দপ্তরসমূহ। কেননা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আগামীদিনের হাল ধরার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্য দিয়ে হলেও আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলতে যাচ্ছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতেই যেন উপচে পড়া খুশিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা সেই স্মৃতি বিজড়িত তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখতে পারবে। না বলা গল্প গুলো বন্ধুদের সাথে আবারো বলতে শুরু করবে। পড়াশোনা নিয়ে ভাবতে শুরু করবে সকল শিক্ষার্থীরা।
এতে করে সকল শিক্ষার্থীরা ফিরে পাবে হারিয়ে যাওয়া প্রাণ। প্রতিটি পদধ্বনিতে মুখরিত হবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক তাদের কাঙ্খিত পাঠদানে ও শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণে ব্যস্ততম সময় পার করতে শুরু করবে আবারো। অটো পার্স কিংবা অটোপ্রমোশন নয় মূল শিক্ষায় শিক্ষিত হবে এসকল ভবিষ্যৎ কর্ণধার শিক্ষার্থীরা। পৃথিবীর বুকে নজির স্থাপনে দৃষ্টান্ত রাখবে দেশের সকল শিক্ষার্থীরা। এমন আশাতেই বুক বেঁধে থাকবে বাংলাদেশ।