বরগুনার তালতলীতে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক
এম.এস রিয়াদ,(বরগুনা):
বরগুনার তালতলীতে গড়ে উঠেছে সরকারি কোন বিধির তোয়াক্কা না করেই চারটি ক্লিনিক ও হাসপাতাল । ক্লিনিক হাসপাতাল গুলোতে রয়েছে ডায়াগনস্টিক। অনুমোদন ছাড়াই চলছে এসব স্বাস্থ্য সেবা। অনেক প্রতিষ্ঠানের তথ্যও নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
এদিকে বেশির ভাগের হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নাম ও অবস্থান জানেন না বরগুনা সিভিল সার্জন। বরগুনার তালতলীতে একটি ক্লিনিকের অনুমোদন (লাইসেন্স) থাকলেও তাও মেয়াদ উত্তীর্ণ। বাকি গুলোর একটিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো ধরনের অনুমোদন নেই।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- তালতলী উপজেলায় ইসলামী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার,নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দোয়েল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। তবে নিউ-পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চলতি বছরের জুন মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকি তিনটিতে কোনো ধরণের লাইসেন্স নেই। কিন্তু বছরের পর বছর স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতায় স্বাস্থ্য সেবার নামে এমন অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে ক্লিনিক হাসপাতাল মালিকরা।
এসব ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী রোগীদের ভাষ্যমতে- কোন ধরনের টেস্টের প্রয়োজন না হলেও ব্যবসায়ী খাতিরে প্রতিটি রোগীকে কোন না কোন টেস্ট করাতে প্রেসক্রাইব করা হয়। এতে করে এ সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাতিয়ে নিচ্ছে হাওয়ার উপরে লাখ লাখ টাকা।
ইসলামী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মাসুম ফরাজী কথার ছলে বলেন, কাগজপত্র স্বাস্থ্য বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর চালান ফরমও আমাদের কাছে আছে। অস্ত্রপচারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষটি এড়িয়ে যান।
নিউ পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো.আবুল বাসারকে মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ বলেন, অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্রপচার করার সুযোগ নেই। সরকারি আইনের বাইরে থেকে কোনো ধরনের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলতে পারে না। অচিরেই এসকল লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান- জেলার বেশকিছু ক্লিনিকের আবেদন আছে। সেগুলো ভিজিট করার কথা রয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।