রুয়েটের বাসচালক হত্যা মামলার রায়ে চারজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আব্দুস সালম (৫৫) হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে চার আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার টাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত চার আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার বাজেকাজলা মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার ভাড়াটিয়া দিলদার আলীর ছেলে নূর নবী হোসেন ওরফে হৃদয়, কাজলা বিলপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সানোয়ার হোসেন ওরফে সাইমুন ওরফে এসএম সায়েম এবং কাজলার মৃত ইসহাক আলীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে সোহেল। এছাড়া এই হত্যামামলার অপর দুই আসামি প্রাপ্তবয়স্ত না হওয়ার তাদের মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে চলমান রয়েছে। ওই দুই আসামি হলেন- ফয়সাল আহম্মেদ শিফাত ও শিমুল ওরফে পশাল।
মামলার বাদি নিহত আব্দুস সালামের ছেলে পশাল জানান, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিলো সর্বোচ্চ শাস্তির। কিন্তু আদালত যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে। আমরা এই রায়ে পুরোপুরি সন্তষ্ট নই।’ এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এন্তাজুল হক বাবু। তিনি বলেন, এই মামলায় ২৫ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এছাড়াও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবু বক্কর।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল রুয়েটের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সামনে আব্দুস সালাককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের পরের দিন আব্দুস সালামের ছেলে পলাশ বাদি হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাত নামা মামলা দায়ের করেন। মামার চারদিন পরে শিমুল ওরফে পলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আস্তে আস্তে খুলতে থাকে মামলার জট। দীর্ঘ ৩ বছরেরও বেশি সময় পর বুধবার এই হত্যাকান্ডের রায় ঘোষণা করা হলো।