শিরোনাম

South east bank ad

ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ

 প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ রোমান আকন্দ, (শরীয়তপুর) :

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত আফিয়া সিদ্দিকা নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করেছেন কর্তব্যরত নার্স মাহমুদা আফরোজ। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আফিয়া সিদ্দিকা শরীয়তপুর সদর পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের বালুচড়া গ্রামের মিজানুর রহমান পাহাড়ের মেয়ে। এ ঘটনায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।


ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যার দিকে শরীয়তপুর সদর পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের বালুচড়া গ্রামের মিজানুর রহমান পাহাড়ের মেয়ে আফিয়া সিদ্দিকাকে পায়খানা জনিত কারণে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই সময় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স ছিলেন মাহমুদা আফরোজ। বারবার পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণে ওই শিশুকে ৫০০ এমএল ডেক্সট্রোজ স্যালাইন দেয় নার্স মাহমুদা আফরোজ। অর্ধেক শেষ হওয়ার পর শিশুর বাবা মিজানুর রহমান পাহাড় দেখতে পায় ব্যবহৃত স্যালাইন দুই মাস পূর্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এ ঘটনায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।


এব্যাপারে শিশুর বাবা মিজানুর রহমান পাহাড বলেন, আমার মেয়ের  বয়স ১৮ মাস পাতলা পায়খানার কারণে সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স মাহমুদা আফরোজ আমার মেয়েকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেখার পর থেকে আমি এখন মেয়ের সুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। নার্স মাহমুদা আফরোজ এর দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমার মেয়ের  যদি কিছু হয়, তাহলে তাকে ছেড়ে দেবো না। আমি এই নার্সের বিচার দাবি করছি।


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নার্স মাহমুদা আফরোজ বলে, আমার বিষয়টি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মুনির আহমেদ খান সব জানেন। আমি তার কাছে সব বলেছি। আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবোনা। 


এ ব্যাপারে নার্স মাহমুদ আফরোজ মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহমেদ খান বলেন, শিশু বাচ্চাটির বাবা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। তাকে শোকজ করব।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: