শিরোনাম

South east bank ad

থানচিতে পাহাড় কাটার ঘটনা পরিদর্শনে পরিবেশন অধিদপ্তর

 প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান:


বান্দরবানের থানচিতে উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মার্মা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন রকম অনুমোতি না নিয়ে বসত বাড়ী নির্মানের জন্য বিশাল পাহাড় কাটার ঘটনাস্থল করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পাহাড় কাটার জায়গাটি পরিদর্শনে গিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, গত কিছুদিন ধরে থানচি সদরের বাসষ্টেশন সংলগ্ন মংসানু পাড়ায় স্কেভেটর দিয়ে ১২ শতকের একটি পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করছে থানচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমা। সরকারি আইনানুযায়ী পাহাড় কাটার কোন অনুমতি না থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করে দিনে দুপুরে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটছে এই চেয়ারম্যান। দিনে দুপুরে পাহাড় কাটার পরও কেন আইনানুগ ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না তা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, গরীব মানুষ সামান্য পাহাড় কেটে সমান করলে পুলিশ, গোয়েন্দা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকেরা তাদেরকে গ্রেফতার করে জরিমানা করে। অথচ প্রকাশ্যে স্কেভেটর দিয়ে বিশাল পাহাড় কেটে সমান করার পরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। কেননা তিনি আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ক্ষমতাসীন চেয়ারম্যান। তাই সবাই দেখেও চুপ করে আছে।

পাহাড় কাটার ঘটনার বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি জানান, পাহাড় কাটার ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিন্তু তখন ঘটনাস্থলে কাউকে পাইনি। আমরা যদি ঘটনাস্থলে কাউকে পেতাম তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম।

পাহাড় কাটার সত্যতা জানার জন্য থানচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মারমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন পাহাড় কাটিনি। ঐখানে আমার কোন জায়গা নেই। আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।

বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম বলেন, পাহাড় কাটার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা থানচিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইমং মার্মা নিজের বাড়ী নির্মাণের জন্য কোন রকম অনুমতি না নিয়ে পাহাড় কেটেছেন। প্রায় ২ শতক খাড়া পাহাড় কেটে তিনি সমান করে ফেলেছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট আকারে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড় ধ্বসে প্রাণ হারায় অসংখ্য মানুষ। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধ থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রভাব কাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে পাহাড় কেটে আসছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: