শিরোনাম

South east bank ad

বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি পানিবন্দি ৫১ হাজার মানুষ

 প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া :

গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে সারিয়াকান্দির কাছে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার দুপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৬৬ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সারিয়াকান্দিতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন স্থানে পানি সিপেছ হওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে বাঁশের পাইলিং এবং বালির বস্তা ফেলে জরুরি বাঁধ রক্ষায় জরুরি প্রতিরক্ষামূলক কাজ করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া জানান, কামালপুরের রৌহাদহ গ্রোয়েন বাঁধের বেশির ভাগ অংশ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান দিয়ে পানি সিপেছ হওয়ায় বাঁশের পাইলিং এবং বালির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষায় জরুরি প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা হচ্ছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, বন্যায় রোপা আমন ১৬৫ হেক্টর, বীজতলা ১২ হেক্টর, সবজি ১৭ হেক্টর, মাসকালাই ২২ হেক্টরসহ ২১৬ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, উপজেলার ২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩টি উচ্চবিদ্যালয় ১টি মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলার সারিয়াকান্দি সদর, হাটশেরপুর, কাজলা, চালুয়াবাড়ি, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা ও কামালপুরসহ ৯টি ইউনিয়নের ৬৯টি গ্রামের ৫১ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বন্যাদুর্গত এলাকায় জি আরের ৮০ মে: টন চালসহ অন্যান্যা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: