শিরোনাম

South east bank ad

টাঙ্গাইলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি

 প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো. আবু জুবায়ের উজ্জল, (টাঙ্গাইল) :

উজান থেকে নেমে আসা ও বৃষ্টিপাতের ফলে টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । ফলে টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে । আজ বৃহস্প্রতিবার (২ সেপ্টম্বর) টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি জানান গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৮সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । তিনি আর ও জানান যেসব এলাকায় ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে সেই এলাকায় তাতক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।

এদিকে, বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভুঞাপুর, মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুরে শহর রক্ষা বাঁধে রয়েছে ঝুকি।

কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার হোসেন জানান,ভৈরববাড়ী,আলীপুরসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় দুইশত পরিবার গত এক মাসে গৃহহীন হয়ে পড়েছে । এবারে বর্ষায় যমুনা নদীর ভাঙ্গনে ঘরবাড়ী হারিয়ে এসব এলাকার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে আশেপাশে গ্রামে । নতুন পানি বৃদ্ধি পাওয়া আমার ইউনিয়নে প্রায় প্রতিটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে । এতে শতশত পরিবার পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে । অপরদিকে কৃষি সস্প্রাসারন অধিদপ্তর সুত্রে পাওয়া কৃষকের ফসলী জমি প্রায় ৩৫ হেক্টর জমির উপর আমন ধান পানির নীচে ।

এদিকে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড.মো.আতাউল গনি বলেছেন সরকারীভাবে ভাঙ্গকবলিত কিছু কিছু এলাকায় নগদ অর্থ ও ত্রান সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। কালিহাতির দুর্গাপুর ইউনিয়নের বৈরববাড়ি গ্রামে ৫০ টি পরিবার ও গোয়ালিয়া বাড়ি ইউনিয়নের আফজালপুর গ্রামের ৫১টি পরিবারকে খাদ্য সমাগ্রী ও প্রত্যেক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: