শিরোনাম

South east bank ad

শজিমেকে করোনার এক ইউনিট বন্ধ মো.আলী হাসপাতালে তিন বিভাগ চালু

 প্রকাশ: ৩০ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

বগুড়ায় করোনা বিশেষায়িত সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই হাসপাতালের তিনটি ইউনিট খুলে দেয়া হয়েছে, যেগুলোতে অন্যান্য রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। এই তিনটি ইউনিট হলো অর্থোপেডিক, সার্জারি ও গাইনি বিভাগ।

এছাড়াও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে করোনা রোগীদের শয্যা সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। শজিমেকে তিনটি করোনা ইউনিট ছিল। এরমধ্যে একটি ইউনিট বন্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে দুটি ইউনিটে ২০০ শয্যা রয়েছে। যে ইউনিট বন্ধ করা হয়েছে, সেটাতে ৫০ শয্যা ছিল। আরেকটি ইউনিটও বন্ধ করা হবে, তবে পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সাজ্জাদ-উল-হক বলেন, ‘বগুড়ায় বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা ২০৪ জন। আর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬৪ জন। করোনা রোগীদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৮ জন, শজিমেক হাসপাতালে ৭৯ জন, বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ জন ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪ জন। বাকিরা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো সূত্রে জানা গেছে, ‘শজিমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীদের জন্য প্রথম দিকে ২০০টি বেড করা হয়। গত জুন মাসে করোনা রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো ৫০ শয্যা বাড়ানো হয়েছিল। তবে সম্প্রতি এই হাসপাতালে একটি করোনা ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা বিশেষায়িত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ২৭৬টি শয্যা রয়েছে। আর টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০০টি শয্যা রয়েছে।’

জানতে চাইলে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. নুরুজ্জামান সঞ্চয় বলেন, ‘করোনা রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু করেছি। শনিবার (২৮ আগস্ট) থেকে আমরা অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি এবং ভর্তি নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের অর্থোপেডিক, সার্জারি ও গাইনি ইউনিট খুলে দেয়া হয়েছে। সবাই আসছে, চিকিৎসা নিচ্ছেন ও ভর্তিও হচ্ছেন। ধীরে ধীরে আরো ইউনিট খুলে দেয়া হবে। তবে পরিস্থিরি ওপর নির্ভর করে।’

জানতে চাইলে শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে করোনা রোগীদের শয্যা সংখ্যা কমিয়ে ফেলেছি। এখানে করোনার তিনটি ইউনিট করা হয়েছিল। বর্তমানে একটি ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাকি দুটি ইউনিটে ২০০ শয্যা রয়েছে। আমরা আরো কিছুদিন দেখব, এরপর আরেকটি ইউনিট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’

অথচ যেখানে গত জুন মাসে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে বেড পাওয়া যায়নি। অপেক্ষা করতে হয়েছিল কোনো রোগীর মৃত্যুর অথবা সুস্থতার জন্য। তবেই অন্য রোগী ভর্তির সুযোগ থাকত। কারণ ওই সময় হাসপাতালগুলোতে প্রচুর রোগীর চাপ ছিল।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: