যমুনাসহ সকল নদ-নদী পানি বিপৎসীমার ওপরে
মো.আবু জুবায়ের উজ্জল, (টাঙ্গাইল) :
টাঙ্গাইলে যমুনা,ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক নিম্নাঞ্চল। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গেলো ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,পানি বন্ধী হয়েছে টাঙ্গাইর সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের কচুয়া,চগোপাল,মালতিপাড়া,সাতানী হুগড়।ও কাশিনগর,মাহমুদনগর ইউনিয়নে ডুবাই,বেথর,খারজানা,মাখরখৈাল ও কাকুয়া ইউনিয়নে রাঙ্গাচুরা,পৌলি,কালিকৈটিল,মইসা ও ওমরপুর ।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নহ বলেন আমার ইউনিয়ন যমুনা নদীর তীরবর্তী হওয়া ইউনিয়নটি প্রতি বছরই যুমনার ভাঙ্গনের শিকার হয়। এই এবছর ও হাট বাজার থেকে শুরু করে শতশত ঘরবাড়ী ভেঙ্গে গেছে। তিনি আর ও বলেন ইউনিয়নের প্রায় গ্রামই পানি প্রবেশ করেছে। এই গ্রামের শতশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এই মুহুতে এদের পাশে থাকার জন্য সকল মহলের প্রতি আবেদন জানান ।
এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনাসহ সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।অপরদিকে জেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার লোকজন।