শিরোনাম

South east bank ad

ওদের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে যায়নি: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 প্রকাশ: ২২ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াই থেকে স্বাধীনতার যুদ্ধ এবং সাড়ে তিন বছরের রাষ্ট্র পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু যে নীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন তা পৃথিবীতে বিরল। বঙ্গবন্ধু প্রচলিত ধারণা বদলে দিয়ে বাংলা ভাষা ভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করায় পাকিস্তান ও তাদের এদেশীয় দোসর এবং সাম্রাজ্যবাদী আন্তর্জাতিক পরাশক্তি এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারেনি বলেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা করেছে। বাংলাদেশকে নেতৃত্বে শূন্য করার মধ্য দিয়ে এই রাষ্ট্রটিকে হত্যা করার লক্ষ্যেই ওরা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। ২১শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা একই পরিকল্পনার ধারাবাহিকতার ফসল বলে তিনি উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, একই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। ওদের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে যায়নি।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মশিউর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভাষ সিংহ রায় । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বকতৃতা করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: শাহাদত হোসেন বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী বলেন, সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি কাঠামো দাঁড় করিয়েছেন, প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়েছিলেন, পরমাণু শক্তি কমিশন গঠন, টিএন্ডটি বোর্ড স্থাপন করেছেন, উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। কুদরত-ই –খোদা শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষার আমুল পরিবর্তনের সূচনা করে ছিলেন। দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরকে যুগের চাহিদা মেটানোর উপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেন।বস্তুত পক্ষে একবিংশ শতাব্দির আজকের জীবন যাপন এবং ৪১ সালে যেখানে বাংলাদেশ পৌঁছাবে তার বীজ বপন করে গেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতেরো বছরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ বেয়ে তা অংকুরিত করে বৃক্ষে রূপান্তরিত করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট, তেশরা নভেম্বরের রক্তের প্রবাহ মাস্টার দা সুর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার. তিতুমীর আর হাজী শরিয়ত উল্লাহর রক্ত প্রবাহ এক হয়ে মিশে আছে।

ষাটের দশকে রাজপথে ছাত্র লীগের লড়াকু সৈনিক জনাব মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তুলে ধরে বলেন, ইয়াহিয়া খানের লিগ্যাল ফ্রেম ওয়ার্কের অধীনে অভ্যন্তরিণ বিরোধীতা সত্ত্বেও সত্তরের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ছিল বঙ্গবন্ধুর দৃরদৃষ্টি সিদ্ধান্তের ফসল। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধকে বিচ্ছিন্ন আন্দোলন বলার সুযোগ ছিল না। সত্তুরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নিরঙ্কুশ বিজয়ে পুরো দেশের সকল জনতা এক হবার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাঙালির এই যুদ্ধে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাবমেরিন ক্যাবলকে বাংলাদেশের লাইফ লাইন উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল হাইওয়ে গড়ে তুলতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংস্থাকে দেশ প্রেমের মহান ব্রত নিয়ে কাজ করতে হবে।

মূখ্য আলোচক শুভাষ সিংহ রায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলা ও বাঙালির অহংকার। তিনি ৩২ বছর বয়সে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে নয়া চীনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বকে তাক লাগিয়ে দেন। ৭৪ সালে জাতিসংঘে তার বাংলা ভাষণ বাঙালির জন্য অত্যন্ত গর্বের। বঙ্গবন্ধু সাম্রাজ্যবাদকে পরোয়া করেননি । তিনি বিশ্বের শোষিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। ন্যাম সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফিডেল ক্যাস্ট্রোসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উচ্ছসিত প্রশংসা তুলে ধরে বলেন, যেই দিন যাবে বঙ্গবন্ধু নতুন প্রজন্মের কাছে প্রাসংগিক হয়ে পরিস্ফুটিত হবেন।

বক্তারা বঙ্গবন্ধুকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আরো বেশি করে তুলে ধরার মাধ্যমে বাঙালির গৌরবান্বিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: