ধোবাউড়ায় হাতির চাঁদাবাজি
ফয়সাল আহম্মেদ, (ধোবাউড়া) :
এ দোকান থেকে আরেক দোকান ঘুরছে হাতি, পিঠে বসা হাতির মালিক। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় তুলে সালাম দিচ্ছে, তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানীর কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিচ্ছে না কেউ, ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় তুলছে না হাতি।
এভাবে প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয়া হচ্ছে। ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় এভাবেই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি চলছে।
উপজেলার হাসপাতাল মোড়ের ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া বলেন, দুপুরে হঠাৎ দেখি দোকানের ভেতরে শুঁড় ঢুকিয়ে দিয়েছে বিরাট আকৃতির এক হাতি। টাকা না দিলে হাতি দোকানের সামনে থেকে সরবে না। বাধ্য হয়ে ২০ টাকা দিয়েছি।
ধোবাউড়ার বাসিন্দা ইবনে মাসুদ জিহান বলেন, হঠাৎ বাজারে হাতির দেখা মিললে সবার ভালো লাগতে পারে। হাতি দেখার জন্য ছেলেমেয়েরাও ভিড় জমায়। তাই শখের বসে হাতিটিকে যে যা পারবে দেবে। কিন্তু এভাবে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করাটা অন্যায়।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিকুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন,এভাবে বন্যপশু দিয়ে টাকা আদায়কারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।