বঙ্গবন্ধু খুন না হলে দেশ ৪০ বছর আগেই উন্নয়ন সৃমদ্ধ হতো: ফারুক খান এমপি
মেহের মামুন, (গোপালগঞ্জ) :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেছেন শহরের যাবতীয় সুবিধা গ্রামে পৌছে গেলে পাবেন উন্নয়নের প্রকৃত সুফল। সমগ্র এলাকায় বিদ্যুতায়িত, সকল রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্ট পাকা, এখন শহরের চেয়ে গ্রামের পরিবেশ ভাল, গ্রামে টাটকা শাক, শবজী, ফলমুল পাওয়া যায়। যা শহরে নয়। এখনই বাংলাদেশের উন্নয়নের সময়। অপেক্ষা করুন দেখবেন আগামী দিনে উন্নয়নে অন্য যে কোন উন্নত দেশকে ছাড়িয় যাবে বাংলাদেশ। এটা হয়েছে একমাত্র আপনাদের ভোটে নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকার ফল।
মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি শনিবার (১৪ আগষ্ট) গোপালগঞ্জ ১ আসনে তার নির্বাচনী এলাকায় ৬২ কোটি টাকার বেশী ব্যয়ে ১৩ টি উন্নয়ন প্রকল্প ৩ ব্রিজ, ২টি রাস্তা প্রস্তকরন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি সরকারি দ্বিতল বানিজ্যিক বিপনী বিতান ও ৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন উদ্বোধন শেষে স্থানীয় নেতা কর্মীদের সাথে এক মত বিনিময় একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৫০ বছরে শেখ হাসিনার সরকার একটা এক যুগ পার করেছে। এজন্য বাংলাদেশ বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর হয়েছে। ঘাতকরা যদি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে খুন না করতো তাহলে ৪০ বছর আগেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হতো।
তিনি বলেন বাংলাদেশের যা কিছু উন্নয়ন তা শেখ হাসিনা সরকারেরই অবদান। অন্য সরকারের লোকেরা দুর্নীর্তি করেছে, এতিমর টাকা আত্মসাত করেছে। আর ওই সরকারের নেতারা সবসময় ষড়যন্ত্র করেছে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যকে নি:চিহৃ করা, এজন্য তারা ১৫ আগষ্ট ঘটিয়েছে, ১৭ আগষ্ট সারাদেশে এক সাথে বোমা হামলা করেছে, ২১ আগষ্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তাদের চেষ্টা এখনও অব্যহত রয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য সব সময় সজাগ থাকতে হবে।
দুর্নীতি, অনিয়ম প্রসংগে মুহাম্মদ ফারুক খান আরও বলেন, দেশ থেকে দুর্নীতি ও অনিয়ম দুর করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য দুর্নীতিবাজ অনিয়ম কারিদের কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি’র সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. আতিকুর রহমান মিয়া, সাধারন সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাবির মিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদ, ওসি আবু বকর মিয়া, গোপালগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলি এহসানুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক সাহিদুর রহমান টুটুল, সিরাজুল ইসলাম, মহিউদ্দীন আহম্মেদ মুক্ত মুন্সী, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাত হায়দার হোসেন, প্রচার সম্পাদ জাহিদুর রহমান সহদপ্তর সম্পাদ রফিকুল বারি লিপন উপস্থিত ছিলেন।