সাপাহারে আমচাষিরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত
আব্দুল্লাহ হেল বাকী, (নওগাঁ) :
বাগানের আম শেষ হতে না হতেই নওগাঁর সাপাহারে আগামী বছরের বাম্পার ফলনের আশায় বাগান মালিকগণ এখন থেকেই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরেজমিনে বাগানে গিয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়েছে।
সাপাহার উপজেলার আমচাষি সোহেল রানা জানান, এখনও তার ৫ বিঘা জমিতে বারি-৪জাতের আম রয়েছে। বর্তমানে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা মণ দরে এ আম বিক্রি হচ্ছে। তার পরেও যে সব বাগানে আম ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। আগামী বছরে অধিক ফলনের আশায় এখন থেকেই প্রতিটি গাছের গোড়ায় গাছের খাদ্য হিসেবে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া বাগানে প্রচুর পরিমাণে আলোবাতাস প্রবেশের জন্য গাছের অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছেটে দেয়া হচ্ছে।
বাগান মালিক উপজেলার জবই গ্রামের শাহজাহান আলী জানান যে, শীত পড়লে সাধারণত গাছপালা প্রচুর পরিমাণে খাদ্যগ্রহণ হতে বিরত থাকে। এছাড়া প্রচন্ড শীতে গাছের নতুন ডালপালা গজায়না তাই গরমকাল থাকতেই প্রতিটি বাগানে গাছের খাদ্য হিসেবে সার প্রয়োগ করতে হবে। এজন্য এ উপজেলার প্রতিটি বাগান মালিকগণ এখন থেকেই বাগান পরিচর্যায় নেমে পড়েছেন। সাপাহারে বাগান পরিচর্যার কারণে উপজেলার প্রতিটি সার ও কীটনাশক দোকানগুলোতে রাসায়নিক সার বিক্রয়ের ধুম পড়েছে।
সার ও কীটনাশক বিক্রেতা মিলটন জানান, অতীতে ধানের আবাদে যে পরিমাণ সার ও কীটনাশক বিক্রি করতাম আম চাষের ফলে এখন প্রতিবছর কয়েকগুন বেশি সার ও কীটনাশক বিক্রি করে থাকি। আম চাষাবাদের ফলে নওগাঁ জেলায় যেমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে সাথে সাথে জেলার প্রতিটি সেক্টরেই এর প্রভাব পড়েছে।
সাপাহার উপজেলা ও নওগাঁ জেলার কৃষি দপ্তরের মতে এবারে সাপাহার উপজেলাতে প্রায় ৮হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। প্রতি বছর নতুন নতুন বাগান সৃজনের ফলে এর পরিধি বর্ধনশীল প্রক্রিয়ায় রয়েছে।