শেরপুরে খুনের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাঈদ আহম্মেদ সাবাব, (শেরপুর) :

শেরপুরের শ্রীবরদীতে পরকিয়া প্রেমের জেরে প্রেমিক মিজানুর রহমান (২৫) নামে এক যুবককে প্রেমিকার বাড়িতে ঢেকে নিয়ে খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শ্রীবরদী থানায়। শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের আকন্দপাড়া গ্রামে মলা নাপিতের বাড়িতে ৮ আগষ্ট রোববার রাত ১১ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান পাশ্ববর্তী চাংপাড়া গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় সাহেব আলীর ছেলে বাবুল মিয়া (২৬) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানায়, শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের আকন্দপাড়া গ্রামের আনছার আলী’র তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে আফরোজার সাথে ২/৩ বছর যাবত পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মিজানের।

শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে বাবুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি মিজানকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাতেই মিজানের পরিবারের লোকজন খবর পায়, মিজানকে কে বা কাহারা কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে। খবর শুনে মিজানের বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা খোঁজাখুজি করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে বাবুল মিয়াকে আটক করে।

নিহত মিজানের বাবা আব্দুল মোতালেব বলেন, আমার পোলা মুদি দোকান ব্যবসায়ী। রাত ১১ টায় দোকান বন্ধ করার পর বাবুল আমার পোলারে ডেকে নিয়ে যায়। বেশকিছুক্ষণ পর খবর পাই আমার পোলা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমার ছেলেরে তারা কোপায়া মাইরা ফেলছে। আমি সরকারের কাছে আমার পোলা হত্যার বিচার চাই।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস রাতে জানান, এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় ৫জনের নামে এবং ৬ জনকে অজ্ঞাত হিসেব মোট ১১ জনের বিরুদ্ধ একটি হত্যা মামলা রেকর্ড হয়ছে। ঘটনা সাথে জড়িত আটক বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি রক্তাক্ত ‘দা’ ও কয়েক জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।