রাজবাড়ী শহরকে রক্ষা করা হবে: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
খন্দকার রবিউল ইসলাম, (রাজবাড়ী) :
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, করোনা মহামারিতে লকডাউনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
সারাদেশের পদ্মার ভাঙ্গন রোধে নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ চলছে।রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প ৩৩৬ কোটি ২৮ লাখ ১২হাজার টাকা নদী তীর সংরক্ষণ ৭কিলোমিটার কাজ চলমান। ড্রেজিং আছে ৮.৩কিঃ ৫টি প্যাকেজ এর মাধ্যমে খুলনা শিপইয়ারড কাজ করছে।এর মধ্যে যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কাজ শুরু করেছি। এখন যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে সেটা রক্ষা করার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার আমরা পানি উন্নয়ন মন্ত্রালয় থেকে আমরা নিব এং আগামী বর্ষার আগেই যে কোন মূল্যে স্থায়ীভাবে এই শহরটা রক্ষা করার কাজ দ্রুততার সঙ্গে বাস্থবায়নের ব্যবস্থা করবো।
সোমবার (৯আগস্ট)বিকেলে রাজবাড়ীর নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় কাজ শেষ হতে না হতেই পদ্মা নদীর ভাঙনে ৪৫২ কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ ও নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে ৭ই আগস্ট পর্যন্ত দফায় দফায় পদ্মার ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসেলিমপুর, গোদার বাজার ও সোনাকান্দর এলাকায় ৭টি পয়েন্টের ৩০০ মিটার এলাকার হাজার হাজার কংক্রিটের তৈরি সিসি ব্লক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে হুমকির মধ্যে পড়ে রাজবাড়ী শহরক্ষা বাঁধ সহ,শতাধিক বসতভিটা,মাসজিদ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে করে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় নদী পাড়ের মানুষ সহ রাজবাড়ীর সচেতন মহলের মধ্যে।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ীতে নদী ভাঙন রোধে ২০১৮ সালের জুন মাসে পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাটে তিন ও মিজানপুরে দেড় কিলোমিটারসহ সাড়ে চার কিলোমিটার এবং ২০১৯ এর জুলাইয়ে শুরু হওয়া (প্রথম সংশোধিত) শহর রক্ষা বাঁধের গোদার বাজার অংশের আড়াই কিলোমিটারসহ মোট সাত কিলোমিটার এলাকায় ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
এতে দ্বিতীয় পর্যায়ের সাড়ে চার কিলোমিটারে ৩৭৬ কোটি ও প্রথম সংশোধিত ১৫২৭ মিটারে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। প্রকল্পের জন্য ৮.৩ কিলোমিটার অংশে ৪৯ লক্ষ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হয়েছে।
কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার এলাকার এনজিএল ইট ভাটার কাছে প্রায় ১৮০-২০০ মিটার বাঁধের ধ্বস হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, এ সময় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সালমা চৌধুরী রুমা, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. ফজলুর রশিদ, জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হেকিম, রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আহাদ, পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগের নেত্রীবৃন্দ।