দুর্গাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় থানায় অভিযোগ
এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক (দুর্গাপুর):
নেত্রকোনার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের চারিয়া মাসকান্দা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে ওই গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে রতন মিয়া গত ২ আগষ্ট ৮জনকে অভিযুক্ত করে দুর্গাপুর থানায় একটি মামল দায়ের করেছে। সোমবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের এমটাই জানালেন ভুক্তভোগী রতন মিয়া।
মামলার বিবরন থেকে জানা যায়, গত ৩১জুলাই সকালে রতন মিয়ার ক্ষেতের সাথে অভিযুক্তরা তাদের ক্ষেতে ধান লাগানোর কাজ করছিলো। এমন সময় অভিযুক্তরা রতন মিয়ার রোপনকৃত ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে তার ক্ষেতের আইল ভাঙ্গা সহ ধানের চারা নষ্ট করে ফেলে। এ সময় রতনের ভাতিজা মাসুম উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রর্দশণ করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে স্থানীয় চায়ের দোকানে রতন মিয়া বসে থাকলে সকালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার মৃত আমীর উদ্দিনের ছেলে রুপন এর নেতৃত্বে একই গ্রামের তোফায়েল, কাজল, দেলোয়ার, স্বপন মিয়া, এরশাদ মিয়া, আজিজুল আমিনুল সহ আরো কয়েকজন মিলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে রতন মিয়ার উপর হামলা চালায়। ওই সময় রতন মিয়া দোকান থেকে দৌড়ে তার বাসায় চলে আসলেও অভিযুক্তরা তার বাসায় এসে তাকে মারপিট করে ঘরের ভিতর ডুকে প্রায় ৪লক্ষ টাকার আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং ড্রয়ারে রাখা ধান ও বালু ব্যবসার ২ লক্ষ ৫০হাজার টাকা নিয়ে যায়। এতে আশ-পাশের লোকজন ফেরাতে এলে তাদের উপরও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা ও একজন নারীকে শ্লীলতাহানী করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তিতে স্থানীয়রা রতন সহ অন্যান্য আহতদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রতিবেশি হাবুল মিয়ার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আহতরা তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বর্তমানে বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলার ৭ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানা তদন্ত ওসি মীর মাহবুবুর রহমান জানান, মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।