শিরোনাম

South east bank ad

আধিপত্য বিস্তারে আনোয়ারা-বাশখাঁলিতে মৃত্যু নিয়ে জেলেদের ধোঁয়াশা

 প্রকাশ: ০৪ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয়, (আনোয়ারা) :

বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আনোয়ারা গহিরা এলাকার জেলেদের সাথে বাঁশখালী খানখানাবাদ এলাকার জেলেদের সংঘর্ষে অন্তত ২১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনায় মোঃ নাছির (৩০) নামের এক জেলে নিহত হওয়ার বিষয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে দু'উপজেলার মাঝে।

জানা যায়,ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে গভীর সাগরে বাঁশখালী উপজেলার জেলেদের সাথে আনোয়ারা উপজেলার গহিরার জেলেদের জাল বসানোর 'ফার' দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগে আনোয়ারার জেলেরা বাঁশখালীর বেশ কয়েকজন জেলেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে উপকূলে নিয়ে আসেন। পরে আনোয়ারা উপজেলার ৩নং রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলমের উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাঁশখালী খানখানাবাদ এলাকার মোঃ এনাম ও আবুল বশরের মালিকানাধীন বড় মাওলানা ফিশিং বোটটি ২২ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে ব‌ঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতে গেলে আনোয়ারা গহিরা এলাকার দুইটি ‌ফি‌শিং বোটের সাথে আবারও সংঘর্ষ হয়। এই সময় বাঁশখালির বোটে থাকা ২১ জেলে আহত এবং ১জন নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বাশখালির জেলেরা।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে বাঁশখালির বোটে থাকা সাদুর রশীদ নামের এক জেলে বলেন, আমরা ২২ জন বোট নিয়ে সাগরে জাল ফেলতে যাই। এ সময় আনোয়ারা গহিরা এলাকার দুইটি বোট এসে আমাদের কে মারধর করলে আমাদের বোটটি সমুদ্রে ডুবে যায়। এসময় আমরা প্রায় ১ ঘন্টার মতো পুলা ও কাঠ নি‌য়ে সাগরে ভেসে ছিলাম। তারপর অন্য একটি বোট এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে সাগর পাড়ে নিয়ে এলেও নাছির নামে এক জেলে নিঁখোজ রয়েছেন।

প‌শ্চিম বাঁশখালী উপকুলীয় মৎস‌্য সমবায় স‌মি‌তির সভাপ‌তি তা‌রেকুল ইসলাম, সম্পাদক মোঃ শোয়াইব ব‌লেন, আমরা লাশ আনার জন‌্য সাগ‌রে গে‌লেও আ‌নোয়ারার জে‌লেরা আমা‌দের লাশ আন‌তে দেয়‌নি।

ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে আনোয়ারা গহিরা বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. নাছির বলেন,গতবার ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্ত না মেনে বাঁশখালীর জেলেরা খুঁটি গেড়ে 'ফার' দখল করতে গেলে আনোয়ারার জেলেরা এতে বাঁধা দেওয়ার সময় উভয় পক্ষে সামান্য মারামারির ঘটনা ঘটে। তবে এবার সংঘর্ষে নিহতের বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট।

সাঙ্গু কোস্ট গার্ডের সিসি রুহুল আমিন বলেন,সংঘর্ষের বিষয়টা শুনেছি তবে নিহত হওয়া লাশের বিষয়টা সম্পর্কে নৌ পুলিশের সাথে কথা হলে তারা জানায় যে,কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। তারপর বাশখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে কথা বললে তিনি জানায় লাশটা এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি,যারা মারছে তারা না-কি লাশটা নদীতে ফেলে দিছে। আরেকবার শুনেছে তাকে কেউ মারেনি সে পানিতে ডুবে মারা গেছে। তবে বাশখালির (ওসি) আবার ফোন দিয়ে বলেন যে,লাশটা পাওয়া গেছে, তবে সেটা জালে আটকে আছে। এছাড়া সুনির্দিষ্ট কেনো তথ্য নাই।

বাঁশখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ স‌ফিউল কবীর ব‌লেন, আজ সাড়ে ১২ টার দিকে লাশটা পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য এটার পোস্টমর্টেম এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখন এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য যে,নিহত মোঃ নাছির বাঁশখালি উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ডোয়ালিয়া পাড়া গ্রামের শামশুল আলমের ছেলে। তিনি বাঁশখালি উপজেলার কদমরসুল কুইন্নার পাড়া গ্রামের মোঃ মুহিবুল্লার মেয়ে রানু আক্তার কে বিয়ে করেন এবং তার ১ ছেলে ১ মেয়ে আছে বলেও পরিবার সূত্রে জানা যায়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: