জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৩ দফা প্রস্তাবনা জেলা নাগরিক কমিটির
এমএ জামান, (সাতক্ষীরা) :
সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সাথে মতবিনিময় করেছে জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। সোমবার দুুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্টিত হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ১৩ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসককে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মো. আনিসুর রহিম, সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, এড আজাদ হোসেন বেলাল, অধ্যাক্ষ আশেক ই এলাহী, শেখ হারুন-অর রশীদ, ওবাদুস সুলতান বাবলু, এম কামরুজ্জামান, এড আল মাহমুদ পলাশ, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, জি এম মনিরুজ্জামান, এড মনির উদ্দীন, আবেদুর রহমান, আলীনুর খান বাবুল প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, দুই দিনের বৃষ্টিতে পুরো জেলা শহর জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে পানি উঠে গেছে। এটা হতে পারেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন,একটা প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক সেবার মান এমন পর্যায়ে হতে পারে না।
সাতক্ষীরার চলমান জলাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন সাতক্ষীরায়, কোন ড্রেনেজ সিস্টেমই নেই। পানিটা যাবে কোথা দিয়ে। এমনকি জেলা প্রশাসকের বাংলোর ভেতরে যে পানি, সেটা বের হওয়ার কোন পথ নেই। এটা সব জায়গায় চিত্র। যে যখন বাড়িটা তৈরী করেছে, সে তার মত করে তৈরী করেছে। তিনি বলেন জলাবদ্ধতা সমস্যা দীর্ঘদিনের সমস্যা। প্রতিবছরই যেটা হয়, বৃষ্টি হয়-পানি জমে, আমরা কিছু বাঁধ কাটি, তাৎক্ষণিক পানি সরানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু এভাবে হবে না। সমন্বিত প্লান করে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন সমস্যার স্থায়ী সমাধান দরকার, দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান দরকার। এজন্য সবার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হবে।
নাগরিক কমিটির প্রস্তাবনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ইছামতি নদীর সাথে মরিচ্চাপ নদীর সংযোগ পুনঃস্থাপনে লাবন্যবতীর দু’মুখে স্থাপিত শাখরা-টিকেট এবং সাপমারার দু’মুখে স্থাপিত হাড়দ্দহা-কামালকাটি স্লুুইসগেট অপসারণ অথবা দুই নদীর সরাসরি সংযোগ স্থাপনের জন্য স্লুুইচগেটের পার্শ্ব দিয়ে বেড়িবাঁধ কেটে বিকল্প চ্যানেল তৈরী করা, সাতক্ষীরা শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়র খালের সাথে বেতনা নদীর পুনঃসংযোগ স্থাপনে খেজুরডাঙ্গী স্লুইসগেট এবং মরিচ্চাপ নদীর পুনঃসংযোগ স্থাপনে এল্লারচার স্লুইসগেট (বর্তমানে অস্তিত্বহীন) অপসারণ অথবা পাশ দিয়ে বেড়িবাঁধ কেটে বিকল্প চ্যানেল তৈরী করা, কোলকাতার খাল এবং শ্রীরামপুর-বাকাল খালের দু’মুখের সকল বাঁধা অপসারণ করা, ইছামতির পানি প্রবাহ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পূর্বেই লাবন্যবতী, সাপমারা, মরিচ্চাপ, কোলকাতার খাল ও শ্রীরামপুর-বাঁকাল খালের বেড়িবাঁধ যেখানে প্রয়োজন সেখানে উঁচু ও মজবুত করা, প্রকল্পভুক্ত সকল নদী-খালের সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সীমানা পিলার স্থাপন করা, প্রকল্পভুক্ত নদী ও খাল খননের সকল মাটি নদী খালের সীমানার বাইরে অবক্ষেপণ করা অন্যতম।