ভোগান্তি কমেছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে
খন্দকার রবিউল ইসলাম, (রাজবাড়ী) :
শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে ফেরি সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি রবিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত গণপরিবহণ চালু ও লঞ্চ চালু হওয়ার কারণে ভোগান্তি কমেছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া নৌরুটে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে পারছেন। তবে ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে তাদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফেরিঘাটে আসা যাত্রীরা।
রবিবার (১ আগষ্ট) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের যাত্রীবাহী বাসের কোন সিরিয়াল নেই। তবে শনিবার রাতে বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ী ও পণ্যবাহী ট্রাক পারা পারের কারণে রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ২শতাধিক যানবাহন।
ফেরিঘাটে আসা যাত্রী মো. শরিফুল হক বলেন, বিধি নিষেধ নিয়ে সরকারের সিধান্তগুলো ভুল ছিলো। যে কারণে পথে পথে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যে দুরপাল্লার বাস চলাচলের কথা সেই সিধান্ত আরেকটি ভুল সিধান্ত। একটি দুরপাল্লার বাস রাস্তায় নামাতে বেশ সময় লাগে। সেই কারণে অনেক পরিবহণ রাস্তায় নামেনি। যাত্রীদের ভরসা শুধুই নসিমন, করিমন, ট্রাক, মাহেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। তবে এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব নয়।
কুষ্টিয়া থেকে আসা যাত্রী মো.আবুল মিয়া বলেন, করোনাকালে ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তি বেড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে একমাত্র মোটরবাইক ছিলো তুলনামূলক সস্তা যানবাহন। কুষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ মোড় যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় প্রশাসনের লোকজন গাড়ী আটকায়। বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে। মোটরসাইকেল চালকেরা গাড়ী এখন আর ফেরিঘাটে যেতে চায়না।
ফেরিঘাটে আসা কোহিনুর পরিবহনের চালক ইব্রাহিম বলেন, একদিনের সিধান্তে মহাসড়কে বাস নামানো কঠিন ব্যাপার। অনেক মালিক দ্রুত সিধান্তে মহাসড়কে বাস চালাবে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ম্যানেজার মো.জামাল হোসেন বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীর চাপ কমে এসেছে।