সাগরে লঘুচাপে বরগুনায় টানা বর্ষণে জনজীবন অতিষ্ঠ
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা)
বরগুনায় টানা চার দিনের বৃষ্টিতে থমকে গেছে জনজীবন। সাগরে ফের লঘুচাপের কারনে গত তিনদিনের থেকে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়ে আজ মঙ্গলবার দিনটিতে মুষলধারে ঝরছে বৃষ্টি। একদিকে করো না অন্যদিকে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে যেন বরগুনা জেলা থমকে দাঁড়িয়েছে। সামান্যটুকু রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ঝড়ছে মুষলধারে বৃষ্টি। অতি বর্ষনের ফলে বেড়েছে পানির চাপ। এতে গ্রামসহ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শহর।
করোনা মহামারীর কারনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বল্প পরিসরে যেটুকু বাজার মিলত তাও ম্লান হয়ে গেছে বৃষ্টির কারণে।
গতকাল সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।’
তিনি জানান, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ভারি বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।