অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪; বিদেশী পিস্তল ও হেরোইন উদ্ধার
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রধারী ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই ২০২১ ইং তারিখ রাত ০২.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন বিরুলিয়া আকরাইন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০১ টি বিদেশী পিস্তল, ০১ টি ম্যাগাজিন, ০১ রাউন্ড গুলি ও ২৭ গ্রাম হোরোইনসহ নিম্নোক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ
(ক) মোঃ আবুল কালাম @ ভাঙ্গারী কালাম (৪০) জেলা- ভোলা।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, আবুল কালাম @ ভাঙ্গারী কালাম ভোলা জেলার সদর থানায় ১৯৭৭ সালে জন্ম গ্রহণ করে। সে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে এবং তারপর লেখাপড়া বাদ দিয়ে ১৯৯৭ সালে ভোলা হতে ঢাকা চলে আসে। কল্যানপুর নতুন বাজার এলাকায় সে মাছের ব্যবসা শুরু করে। তখন সে মিরপুর মডেল থানাধীন কল্যানপুর বস্তিতে থাকতো। ২০০৪ সালে সে মাছের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে এলাকায় ভাঙ্গারীর ব্যবসা শুরু করে। মুলত তখন থেকেই এলাকায় তার নাম ভাঙ্গারী কালাম হিসেবে পরিচিত। সেখান থেকেই মূলত সে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। সে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ এর ছত্রছায়ায় চলাফেরা করে এবং বিকাশ সকল সময় তাকে বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী অস্ত্রের যোগান দিয়ে আসছিলো। মূলত এখান থেকেই আবুল কালাম @ ভাঙ্গারী কালাম এর উথ্যান শুরু হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন প্রকার একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৫ সালে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী অস্ত্র প্রদর্শন সহ ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিলো। সে একাধারে সন্ত্রাসী ও জমিদখলকারী। এছাড়াও সে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা হতে মাদকদ্রব্য হেরোইন সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী দের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।