মুন্সিগঞ্জে শুরু হলো পশু বেচাকেনা, সরকারি দরের দিগুন দামে ইজারা পেলো চেয়ারম্যান
কায়সার সামির (মুন্সিগঞ্জ):
মুন্সিগঞ্জে শুরু হলো কোরবানীর পশু বেচাকেনা। ইতিপূর্বে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু এসে জেলার ৩২টি হাট ভরে গেছে। তবে এখনো তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না। জেলার সর্বোচ্চ সরকারি দরের দিগুন দামে খেতেরপাড়া পশুর হাট ইজারা পেয়েছে খিদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. আনোয়ার হোসেন বেপারী। এক কোটি ৩৫ লাখ ১০ টাকা দিয়ে এই হাট ইজারা নেন। যার সরকারি দর ৬০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬৭ টাকা। বর্তমানে এ পশুর হাটে প্রায় ১০ হাজারও বেশি গরু, মহিষ ও ছাগল রয়েছে।
আয়তন ও রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে এ বছর মুন্সিগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানীর পশুর হাট এটি। যা দেখাশোনার জন্য রয়েছে ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবী সদস্য। এবার জেলায় মোট ৩২টি গরুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫টি, টঙ্গীবাড়ি ৫টি, সিরাজদিখান ৮টি, শ্রীনগর ৬টি, গজারিয়া ৪টি ও লৌহজং উপজেলার ৪টি পশুর হাট ইজারা দেওয়া হচ্ছে।
এই হাট খিদিরপারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বেপারী বলেন, গত আট বছর যাবত আমি এই হাটের ইজারা নিয়ে আসছি। এটা আমার ও পরিবারের ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত। একটি পক্ষ এ বছর আমি যাতে ইজারা না পাই সেই চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে হাটের গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাক্স রাখা রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী নো মাস্ক নো সার্ভিস এই ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়েছে। একটু গরু কিনতে সর্বোচ্চ দুইজন ব্যক্তি হাটে প্রবেশ করতে পারবে। জনসচেতনতায় মাইকিং ও জাল টাকা শনাক্তকরণ এর মেশিন রাখা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপক কুমার রায় বলেন, করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখেই প্রত্যেকটি হাট ইজারা মালিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, স্বাস্থ্যবিধি ও মাক্স ব্যবহার জোরদার করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে। এবার জেলায় মোট ৩২টি পশুর হাটের ইজারা দেওয়া হয়। এই হাটগুলো উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা দেখাশোনা করবেন।